ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরে মেঘনার ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ লাখ টাকা

চাঁদপুরে মেঘনার ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ লাখ টাকা

জাটকা রক্ষায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় খুবই কম সংখ্যক ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। যার ফলে দাম খুবই চড়া। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকা। ইলিশ ধরার স্বপ্ন নিয়ে দিন ও রাতে নদীতে চষে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার জেলে। তবে ইলিশ না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন অনেকে।

বুধবার (৭ মে) দুপুরে সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেল মেঘনা থেকে ধরে আনা ইলিশের দর দাম। জেলেরা ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে আসছেন এই ঘাটে। বরফ ছাড়া তাজা ইলিশ কেনার জন্য অনেক ক্রেতাই এখানে সকাল থেকে এসে উপস্থিত হন।

এই মাছঘাটের প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, গত তিন দশক ধরে ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। জেলেদের ধরে আনা ইলিশ এই ঘাট থেকে ক্রয় করে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে বিক্রি করি। আজকে ছোট অন্য প্রজাতির মাছের সাথে ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি করেছি ১লাখ টাকা মণ দরে। ইলিশের এমন আকাল খুব কমই দেখেছি।

হরিণা আড়তে মাছ বিক্রি করতে আসা জেলে আরিফ হোসেন বলেন, সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নদীতে ছিলাম। পোয়া, শিলন, বাটাসহ অন্য প্রজাতির মাছের সাথে কয়েকটা জাটকা পেয়েছি। বিক্রি করেছি মাত্র ৭০০টাকা। বড় ইলিশের দেখা মিলছে না।

একই এলাকার জেলে মোসলেহ উদ্দিন বলেন, নদীতে ইলিশ নেই। ৪জন মিলে সকাল থেকে নদীতে ছিলাম। পেয়েছি দুই কেজি চিংড়ি। বিক্রি করেছি ৮০০টাকা। জ্বালানি খরচও উঠেনি।

সদরের ঢালীরঘাট এলাকা থেকে এই ঘাটে ইলিশ কিনতে এসেছেন রুবেল সর্দার। তিনি বলেন, ইলিশ না পেয়ে ১ হাজার টাকার পোয়া মাছ কিনেছি।

চাঁদপুর শহর থেকে আসা আরে ক্রেতা জয়নুল ইসলাম বলেন, তাজা ইলিশ কেনার জন্য সব সময় হরিণা ঘাটে আসি। কিন্তু ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। দামও চড়া। যে কারণে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। চড়া দামে ইলিশ কেনার সামর্থ্য নেই।

হরিণা মাছঘাটের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, এই সময়ে ইলিশ খুব কমই পাওয়া যায়। তবে নদীর পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টি হলে ইলিশের প্রাপ্যতা বাড়তে পারে। ইলিশ না পেয়ে এলাকার শত শত জেলে হতাশায় সময় পার করছে। ছোট অন্য প্রজাতির মাছ বিক্রি করে আমাদের আড়তগুলো চলছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, গেল বছর নভেম্বর মাস থেকেই জাটকা রক্ষায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স নদীতে কঠোর অবস্থানে ছিল। এখন নদীতে ইলিশ কম পাওয়া গেলেও এর সুফল জেলেরা ভরা মৌসুমে পাবে।

ইলিশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত