ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বন্যায় আশঙ্কায় চৌদ্দগ্রামে কমেছে কোরবানির পশু

বন্যায় আশঙ্কায় চৌদ্দগ্রামে কমেছে কোরবানির পশু

গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের অনেকেই কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা গরু আগেভাগেই বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে এবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোরবানির ঈদে বাজারে আসছে প্রায় ১২ হাজার গবাদিপশু, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪ হাজার কম।

খামারিরা আশঙ্কা করছেন পশুর এই ঘাটতির কারণে বাজারে প্রভাব পড়তে পারে মূল্যেও।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদকে কেন্দ্র করে চৌদ্দগ্রামে ছোট-বড় মিলিয়ে ১,৮৭৭টি খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামার থেকে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মিলিয়ে মোট ১৩,৩৯৯টি গবাদিপশু কোরবানির বাজারে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ১১,৮৬৪টি গরু, ৩১টি মহিষ এবং ছাগল-ভেড়া রয়েছে ১,৫০৪টি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদে উপজেলার ২,০৪৪টি খামার থেকে ১৬,৮০০টি গবাদিপশু বাজারে এসেছিল। কিন্তু আগস্টের বন্যায় অধিকাংশ খামার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় খড়-পানির সংকটে খামারিরা পশু বিক্রি করে দেন। ফলে অনেক খামার বন্ধ হয়ে যায় এবং এ বছর পশুর সরবরাহও কমে যায়।

বাতিসা ইউনিয়নের পাটানন্দী গ্রামের খামারি বেলাল হোসেন বলেন, “বন্যায় গরু মারা না গেলেও খড় পচে যাওয়ায় পশুকে খাওয়াতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে দুর্বল গরু আগেই বিক্রি করে দেই।”

কমলপুর গ্রামের খামারি ইমাম হোসেন শরীফ বলেন, “গত বন্যায় আমার কয়েকটি গরু মারা যায়। পরে গো-খাদ্যের দামও বেড়ে যায়। ফলে এবার কম গরু প্রস্তুত করতে পেরেছি।”

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরও নিয়েছে নানা প্রস্তুতি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন সাগর জানান, “ঈদ উপলক্ষে আমরা পাঁচটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি, প্রতিদিন রোটেশন অনুযায়ী তারা হাট পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন। এছাড়া সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে, যেখানে খামারিরা যেকোনো সময় সেবা পাবেন।”

তিনি আরও জানান, হাটে স্বাস্থ্যসম্মত পশু বেচাকেনা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর একযোগে কাজ করবে।

কোরবানির,পশু
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত