সাতক্ষীরার উন্নয়ন কল্পে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি।
বুধবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সংগঠনটির সভাপতি দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু’র সঞ্চালনায় জেলার নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে জনগুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদ শেখ কামরুল ইসলাম ফারুক, সহ-সভাপতি সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলা, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সাংবাদিক কাজী শওকত হোসেন ময়না, তৈয়েব হাসান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ পাড় প্রমুখ।
এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুর রব ওয়ার্ছি, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, সামছুদ্দিন গজনবী বাবলু, যুগ্ম মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা খাতুন, অফিস সম্পাদক শেখ সোহরাব হোসেন বাবু, জন-সংযোগ সম্পাদক আবুল কালাম, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল করিম ধনি, কোষাধ্যক্ষ আমিনুল হক খোকন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার রফিকুল ইসলাম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুছা করিমসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা এসময় নাভারণ থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইনটি যত দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা, আগামী বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্কারসহ প্রাণসায়ের খাল দুইপার্শ্বে সৌন্দর্যবর্ধন এবং দখল হওয়া খাল উদ্ধার করে তা খনন করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা, সাতক্ষীরা সরকারি কামালনগর ও রসুলপুর কবরস্থানের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে নতুন কবরস্থানের জায়গা ব্যবস্থা করা, বিনেরপোতা থেকে আশাশুনি সড়ক রামচন্দ্রপুর ও দহাকুলা হয়ে বাকাল চেক পোস্ট পর্যন্ত সংযোগ সড়ক করা, সাতক্ষীরা জেলার সকল হাসপাতাল এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, সাতক্ষীরা জেলাকে ‘এ’ গ্রেডের জেলা করার লক্ষ্যে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটাকে উপজেলা ঘোষণা করা, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল পুনঃ চালু করা, সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনকে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান চিহ্নিত করা এবং পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য মোটেল নির্মাণ করা, উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ২৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জেলার উন্নয়নকল্পে ২৭ দফা দাবিসমূহ নিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।