ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লোকসান কাটিয়ে লাভজনক অবস্থানে মধ্যপাড়া পাথর খনি

লোকসান কাটিয়ে লাভজনক অবস্থানে মধ্যপাড়া পাথর খনি

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ মধ্যপাড়া পাথর খনি লোকসান কাটিয়ে এখন লাভজনক অবস্থানে পৌঁছেছে। খনিটি পরিচালনায় জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) দায়িত্ব নেওয়ার পর উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ। বর্তমানে খনির ১৪টি ইয়ার্ডে প্রায় ১১ লাখ টন পাথর মজুত রয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক পৌনে ৪০০ কোটি টাকা।

কিন্তু রেল ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়মিতভাবে পাথর না নেওয়ায় মজুত বেড়েই চলেছে। খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি অর্থবছরের ৪ জুন পর্যন্ত ২৪৬ কোটি টাকার ৯ লাখ ২০ হাজার টন পাথর বিক্রি হয়েছে।

খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ রফিজুল ইসলাম জানান, আমদানি পাথরের ওপর শুল্ক ও মধ্যপাড়ার পাথরের ট্যারিফ ভ্যালু বাড়ালে অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা বাড়বে। রেলপথ ও পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও পাথর গ্রহণে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

জানা যায়, ২০০৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হলেও শুরুতে খনিটি প্রতিদিন মাত্র ৭–৮ শ’ টন পাথর উত্তোলন করতো, যা ছিল অপ্রতুল। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক দরপত্রে জিটিসি দায়িত্ব নিলে দৈনিক উত্তোলন বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টনে।

জিটিসির অধীনে খনি প্রথম লাভের মুখ দেখে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এবং তা ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত তারা প্রায় ৪৫ লাখ টনের বেশি পাথর উত্তোলন করেছে। বর্তমানে পাথর বিক্রির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও প্রতিষ্ঠানটি সক্রিয়। খনি এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

এমজিএমসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ডিএম জোবায়েদ হোসেন বলেন, “উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বিস্ফোরকের ওপর শুল্ক হ্রাস, পুরনো ঋণ মওকুফ, মধ্যপাড়া-চৌরঙ্গী রেললাইন সংস্কার এবং রয়্যালটি হার ৪% থেকে কমিয়ে ১% নির্ধারণ জরুরি।”

তিনি আরও জানান, স্থানীয় ক্রেতাদের জন্য খনি গেটে ক্রসিং পয়েন্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাথর বিক্রি অব্যাহত থাকলে খনিটি আরও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে।

লাভজনক,মধ্যপাড়া পাথর খনি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত