পাবনায় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, স্বজনপ্রীতি, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে ঈশ্বরদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাময়িক বহিষ্কার হওয়া অধ্যক্ষ আসলাম হোসেনকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী ও সাধারণ ছাত্রীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি বিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের রেলগেট ট্রাফিক মোড়ে এসে মানববন্ধন করে করে শেষ হয়।
জানা গেছে ,গত বছরের ২৫ আগস্ট ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে অধ্যক্ষের বিচার ও বহিষ্কারের দাবি জানালে বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। তখন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ।
এদিকে অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং বিদ্যালয়ে ফিরে আসছেন এমন খবর জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার অধ্যক্ষ আসলাম হোসেনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শহরের ব্যস্ততম এলাকা ঈশ্বরদী রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী শামন্তা রহমান ঐশ্বর্য। তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন খুব খারাপ লোক। এ ধরনের লোককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাখা কখনোই ঠিক না, তাকে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি ইমরান কায়েস শাওন বলেন, ‘বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব অল্প কিছুদিন আগে পেয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি আমার জানা নেই। সবকিছু জেনে তারপর আপনাদের জানাবো।’
এসব অভিযোগ সম্পর্কে ঈশ্বরদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন বলেন, অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় এমন কিছু করিনি। তদন্তে সত্য স্পষ্ট হয়েছে। বাকিটা কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।