চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে একটি মামলার শুনানির সময় হঠাৎ মাথা ঘুরে মেঝেতে পড়ে যান আব্দুল মান্নান খান (মহিন) নামে এক আইনজীবী। সেখান থেকে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৫১ বছর।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা জজ আদালতে রিভিশন মামলার শুনানিকালে এই ঘটনা ঘটে।
তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির মৃত ইসমাইল হোসেন ব্যাপারীর ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের দক্ষিণে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন।
সহকর্মী আইনজীবীরা জানান, পড়ে যাওয়ার সময় তিনি আদালতের বেঞ্চের সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়। তাৎক্ষণিক আদালতে থাকা অন্যান্য আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা জানান, অসুস্থ অবস্থায় এই আইনজীবীকে হাসপাতালে নেয়া হলে হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসক মুনতাকিম হায়দার রুমি ও তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তাকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম সুমন মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কুহিনূর বেগম বলেন, আইনজীবী আব্দুল মান্নান আদালতে একটি রিভিশন মামলার এডমিশন শুনানি করছিলেন। শুনানি করা অবস্থায় তিনি মাথা ঘুরে ফ্লোরে পড়ে যান। সাথে সাথে তাকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, এই আইনজীবী ২০১০ সালে চাঁদপুর আইনজীবী সমিতিতে যুক্ত হন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত আইনজীবী সমিতির একজন নিয়মিত সদস্য ছিলেন।
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় পাটখেত থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের মাড়গাঁও প্ল্যান বাজার এলাকায় বাংলা ভাষা কলেজের পশ্চিমে পাকা রাস্তার অদূরে পাটখেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম দেলোয়ার হোসেন (৬২)। তিনি ভাবকী ইউনিয়নের মাড়গাঁও গ্রামের তফির মেম্বারপাড়ার বাসিন্দা। দেলোয়ার হোসেন মৌসুমি ব্যবসায়ী হিসেবে ভুট্টা, পাট, আলু কেনা-বেচা করতেন।
মরদেহ উদ্ধারের সময় তার জামার পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে তিনি কার কাছে কত টাকা দেনা ও পাওনা আছেন, তার হিসাব লেখা ছিল।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেলোয়ার আর ফেরেননি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে সবশেষ তার মেয়ের স্বামী রেজাউলের সঙ্গে কথা হয়। বাড়িতে ফিরতে দেরি হবে বলে জানান তাকে। পরে রাত ১০টার দিকে পরিবার থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে স্থানীয় লোকজন পাটখেতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমুল হক বলেন, মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহত ব্যক্তির পকেট থেকে একটি কাগজে লেখা কিছু টাকার হিসাব পাওয়া গেছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।