
বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার দিনভর সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী প্রায় ৪৭ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এগুলো সাদাপাথর ও জাফলং এলাকার নদীতে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে সাদাপাথর লুটপাটের অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেপ্তার আলমগীর আলম কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুধবার সাদাপাথর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ফুট পাথর জব্দ করা হয়। এগুলো রাতে সাদা পাথরে পুনঃস্থাপন করা হয় বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া পাথরের বড় অংশ ধলাই নদীতে ফেরত দেওয়ার কাজ চলছে, যাতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ও পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা যায়। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই পাথর লুটের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ বাঁচাতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, মজুত বা পাচারে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও জানান, চেকপোস্টে গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ৭০টি গাড়িতে সাদাপাথর এলাকার পাথর শনাক্ত হলে সেগুলো পুনরায় প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বুধবার সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের পর জেলা প্রশাসন একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে ১৭ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।