
চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা বেড়েছে আরও ৫ হাজার ৪৮২ টিইইউস (২০ ফুট দীর্ঘ)। কনটেইনার জটের শঙ্কার মধ্যেও ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির এ তথ্য নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, নিয়মিত ক্যাপাসিটি এক্সপেনশনের অংশ হিসেবে ইয়ার্ড, শেড ইত্যাদি সম্প্রসারণ ও নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরাতন অকশন ইয়ার্ড, গাড়ি সংরক্ষণ স্থান, ব্যাগেজ শেড, এক্স-ওয়াই শেডসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে যেখানে বন্দরের ধারণক্ষমতা ছিল ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস, সেখানে নতুন ইয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় বর্তমানে ধারণক্ষমতা প্রায় ৫৯ হাজার টিইইউসে উন্নীত হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় এখন আরও বেশি কনটেইনার সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৪৭-৪৮ হাজার টিইইউস কনটেইনার সংরক্ষণ সত্ত্বেও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চলছে।
আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ১০টি কনটেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হতো, এখন সেখানে ১২-১৩টি পর্যন্ত জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে। এতে আমদানি-রপ্তানিকারকরা কম সময়ে তাদের পণ্য হাতে পাচ্ছেন এবং রপ্তানির লিড টাইমও কমেছে।
বন্দর সচিব আরও জানান, চলতি বছরের মধ্যেই আরও কয়েকটি ইয়ার্ড নির্মাণ সম্পন্ন হলে ধারণক্ষমতা প্রায় ৬২ হাজার টিইইউসে উন্নীত হবে। এর ফলে রপ্তানিমুখী প্রায় ৬ হাজার টিইইউস কনটেইনার বন্দরের ইয়ার্ডে প্রি-স্টেকিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকোমেটিভ সংকটের কারণে ঢাকা আইসিডিগামী কনটেইনার পরিবহনে বিলম্ব হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানে রেলওয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় ১০ হাজার নিলামযোগ্য কনটেইনার নিলামের অপেক্ষায় রয়েছে।
বর্তমানে বহির্নোঙরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম নেমে এসেছে ০-২ দিনে এবং জাহাজের গড় অবস্থানকাল (টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম) দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫৮ দিনে।