৯ বছর পর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন সফল করতে ইতোমধ্যে দলীয়ভাবে বিভিন্ন উপকমিটিসহ গঠিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন এবং ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচনি তফসিল।
শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে। এ জন্য গঠন করা হয়েছে ৭ সদস্যের নির্বাচন কমিশন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ শুক্রবার রাতেই ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, ১৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাই, একই দিন বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৬ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার, চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ এবং প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
২০ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পুরাতন স্টেডিয়ামে কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গণনার পর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। জেলা বিএনপির ২১টি ইউনিটের ২ হাজার ১৭১ জন কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন।
আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান। সহকারী নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. আমিনুল ইসলাম রতন, অ্যাডভোকেট মো. শরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনসুর আলম, এএসএম আজিজুর রহমান ভূঁইয়া, ডা. মো. ইমরান হাসান রকি ও মোকাররম হোসেন শোকরানা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, জেলা বিএনপির সবশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর। প্রায় এক দশক পর হতে যাওয়া নতুন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশন হিসেবে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি। কাউন্সিলরদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং প্রতিটি প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকবে না। গণতান্ত্রিকভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করতে হলে দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা একান্ত প্রয়োজন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উৎসবমুখর পরিবেশে এবং শান্তিপূর্ণভাবে জেলা বিএনপির সম্মেলন শেষ হবে বলেও আশা করেন তিনি।
