কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার পক্ষে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান শিশু ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। তবে নামের চেয়ে বেশি আলোচনায় ১০ বছর বয়সী জিসানের অসাধারণ ফুটবল নৈপুণ্য। কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও আবার পিঠে রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা ফুটবল নাচিয়ে যাচ্ছে। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো কথা শুনছে এই ছোট্ট জাদুকরের। তার এমন নৈপুণ্য ছড়িয়েছে নেট দুনিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে।
অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
জিসানের খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তিনি এ সময় জানান, তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।
জিসান জানায়, সে মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে ফুটবলের জাদু রপ্ত করেছে।
জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, তিনি বিশ্বাস করতেন, একদিন না একদিন কেউ না কেউ তার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ তার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।
স্থানীয়রাও জিসানকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। তার বল নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষতা দেখে সবাই অবাক। স্থানীয়রা বলেন, তারেক রহমানের সহযোগিতায় জিসানের ভবিষ্যৎ এখন অনেক উজ্জ্বল।
