
রংপুরে সাংবাদিক ও সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাকে মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।
এ ঘটনায় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল বাদী হয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমাসহ ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর থেকে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফলে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমসহ নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
সাংবাদিক বাদলের অভিযোগ, জুলাইযোদ্ধা ও জুলাই রাজবন্দীদের নামে অটোরিকশার লাইসেন্স বাণিজ্য নিয়ে প্রতিবেদন করার জেরে তাকে সিটি করপোরেশনে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়।
অন্যদিকে, সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিক বাদল সন্ত্রাসীদের নিয়ে সিটিকরপোরেশনে হট্টগোল করেন এবং লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে মারধর করেন। তাদের দাবি, ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজেই এর প্রমাণ রয়েছে।
মামলার এক আসামি ব্যবসায়ী এনায়েত হোসেন রকি বলেন, ‘আমরা জুলাইযোদ্ধা হিসেবে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে সিটি করপোরেশনে গিয়েছিলাম। অথচ সাংবাদিক বাদল উল্টো আমাদের দোষারোপ করে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।’ একই অভিযোগ করেন সাবেক কাউন্সিলর লিটন পারভেজও।
এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, সাংবাদিক বাদলের দায়ের করা মামলায় রতন মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।