
রংপুরের পীরগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় মোট ৩৫৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাবিটা প্রকল্পের জন্য ৬ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং কাবিখা প্রকল্পের জন্য ৪১৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দে এসব কাজ করা হয়েছে।
বার্তা সূত্রে জানা গেছে, এ বরাদ্দে পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক স্থাপত্য ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে।
সম্প্রতি সম্পন্ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বহু স্থানে সিসি রাস্তা নির্মাণ, বিভিন্ন স্থানে সলিং রাস্তা নির্মাণ, ডব্লিউবিএম ও এইচবিবি পদ্ধতিতে রাস্তা সংস্কার, গাইডওয়াল নির্মাণ, ইউ-ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণসহ অন্যান্য নিকট-মুখী কর্মসূচি।
পাশাপাশি ১৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের অবকাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে স্থানীয় জনজীবন ও সার্বিক সেবাসুবিধা উন্নত করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন প্রশাসনিক সূত্র বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় এবারের প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও মান নিয়ন্ত্রণ অনেকখানি বেড়েছে।
তাদের বক্তব্য, পূর্বে অনেকে কাজের গুণগতমান যাচাই না করে বিল অবমুক্ত করতেন, কিন্তু এ বার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিন গিয়ে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ যাচাই-বাছাই করে টাকা ও খাদ্যশস্য বিতরণ করেছেন, ফলে কাজের মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই অর্থবছরে কোনো রাজনৈতিক স্তরের তদবির মেনে নেওয়া হয়নি এবং প্রতিটি প্রকল্পের বিল শুধুমাত্র কাজের মান যাচাইয়ের পরেই দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্প বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে যে অনিয়ম ছিল, সেই সুযোগ এবার আর কেউ পায়নি; আমরা প্রতিটি প্রকল্পের কাজের মান নিশ্চিত করেছি এবং ভবিষ্যতেও স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
সহকারী পরিচালক সামছুল আলমও একটি বড় সংখ্যক প্রকল্পের মান পরীক্ষায় সরাসরি অংশ নিয়ে তদন্ত করেছেন বলে জানা গেছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম বলেন, এবারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে পাঁকাকরণের কাজ বেশি হয়েছে এবং তিনি নিজে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।
খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমি যে কাজগুলো দেখেছি, সেগুলো পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে।’ তিনি জনগণের জীবন-জীবিকা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এই প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।