পলিথিন মোড়ানো ঘরের মধ্যে চলছিল জয়েন উদ্দিন ও রাশিদা দম্পতির সংসার। ভাঙা ঘরের পলিথিনের ছাউনি ও বেড়ার ভেতরে অভাবের সংসারে পড়াশোনা করছিল তাদের ছেলে-মেয়েরা। দাম্পত্য জীবনে রাশিদা বেগমের দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। জীবন সংগ্রামে কষ্টে চলছিল তাদের সংসার।
এমন খবরে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের বিএনপি’র মনোনয়নপ্রত্যাশী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘরের টিন, সিমেন্টের খুঁটি সহ সব উপকরণ নিয়ে হাজির হন কর্নেল আজাদ ও তার সমর্থক বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
ঘরের মালিক রাশিদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “ঝড়-বৃষ্টির দিনে শত কষ্টে দিন পার করছিলাম। খবর পেয়ে কর্নেল আজাদ স্যার আমাকে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এতে আমি ও আমার পরিবার খুশি।”
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের বিএনপি’র মনোনয়নপ্রত্যাশী অব. লে. কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, “আমাদের প্রিয় নেতা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান ইতোমধ্যেই জনগণের সামনে একটি মানবিক রাষ্ট্র কাঠামোর রূপরেখা দিয়েছেন। সেই রাষ্ট্র কাঠামো অনুসারে আমি অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছি ও কাজ করে যাচ্ছি। অসহায় রাশিদার বাড়িতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিতে পেরে আমি খুশি।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন মধুপুর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মাসুদ, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম মেম্বার, মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুরুজ্জামান লুল্লু, যুবদল নেতা মিনহাজ হোসেন, ছাত্রদল নেতা মোজাম্মেল হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, কোনো নেতা বা সরকারি কর্মকর্তাই দরিদ্র রাশিদার খোঁজ নেননি। কিন্তু খবর পেয়েই কর্নেল আজাদ ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। শুধু এই কাজই নয়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মধুপুর-ধনবাড়ী উপজেলার অসহায় দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা, পড়াশোনা ও গৃহহীন মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এজন্য এলাকাবাসী কর্নেল আজাদকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় ধনবাড়ী-মধুপুরের বিএনপি নেতা, কর্নেল আজাদের সমর্থক এবং বিএনপি নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
