ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে সাটুরিয়া ডাকবাংলোয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা অপপ্রচার ও বিকৃত ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আব্দুর রহমান বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সাটুরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, আহ্বায়ক এবং সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় রয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি একটি চক্র আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “চলতি বছরের ৫ আগস্ট ‘জেলা বিপ্লব দিবস’ উপলক্ষে সাটুরিয়া সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত এক সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরুর আগে উপজেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী মাসুদ সভামঞ্চে এসে মাইক বন্ধ করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় সাটুরিয়া যুবদলের আহ্বায়ক আমীর হামজাকে হুমকি দেওয়া হয়। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে আমি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সিএনজি স্ট্যান্ডে গেলে মাসুদ আমার উপর আক্রমণ চালায়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করেন। অথচ হামলার প্রকৃত ভিডিও না দেখিয়ে একটি পক্ষ উল্টো আমাকে জড়িয়ে বিকৃত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াচ্ছে।”
আব্দুর রহমান আরও জানান, কিছু ফেসবুক আইডি যাচাই না করেই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে, যদিও কোনো সংবাদকর্মী বা জাতীয় গণমাধ্যম এ বিষয়ে কিছু প্রকাশ করেনি। এতে প্রমাণিত হয়, একটি চক্র তাকে তথা বিএনপিকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আজাদ বিপ্লব, যুবদলের আহ্বায়ক আমীর হামজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মহসিন উজ্জামান, কৃষক দলের সভাপতি মো. বরকত মল্লিক, শ্রমিক দলের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, যুবদল নেতা মো. ফরিদ হোসেন, উজ্জ্বল তালুকদার ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান বাদলসহ উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
