ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন, উদ্ধার কাজে সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী

চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন, উদ্ধার কাজে সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী

চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (সিইপিজেড)-এর কারখানায় ভয়াবহ আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসে নি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানার ভেতরে তোয়ালে তৈরির জন্য সুতা, তুলা ও অন্যান্য সহজে জ্বলনযোগ্য উপকরণ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ১৭টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি সেনা, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার ও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ‘আদম ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ভবনটির পাঁচতলা থেকে ওপরের তিনটি তলায় আগুন গ্রাস করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয়রা আশপাশ থেকে দূরে সরে যায়। আগুন লাগার পর উদ্ধারকারীরা কারখানার কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে এসেছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দুই ডজন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কারখানার ভেতরে আরও কেউ আটকা পড়েছেন কি না, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বলেন, “আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটসহ নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।”

চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, “ফায়ার সার্ভিস এবং অন্যান্য উদ্ধারকারী বাহিনী অব্যাহতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।”

কারখানার পাশে থাকা অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাদের কর্মচারীদের সরিয়ে নিয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ভবনের অবকাঠামোর ওপরের তলা ধসে যাওয়ায় কাজের গতিতে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। তাই পুরো ভবন থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সময়সাপেক্ষ হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তারা জানিয়েছেন, কারখানার ভেতরে থাকা জ্বালানযোগ্য উপকরণ এবং ঘন সুতা-তুলার স্টক আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।

চট্টগ্রাম ইপিজেডের অন্যান্য কারখানা ও নিরাপত্তা সংস্থা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও ইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কারখানার আশেপাশের এলাকা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী,উদ্ধার কাজ,ইপিজেডে আগুন,চট্টগ্রাম
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত