বোরিং করলেই বের হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। একে একে তিনটি বোরিং করে এমন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফলে পানীয় জলের বোরিংটি চতুর্থবারের মতো স্থানান্তর করতে হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ গ্যাসের চাপ নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে কৌতূহল ও চাঞ্চল্য।
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাছগড়া গ্রামে এমন গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। তবে কত পরিমাণ গ্যাস মজুদ আছে, তা এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
জানা গেছে, ওই গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মদ গত মঙ্গলবার পানীয় জলের জন্য সাবমার্সিবল বোরিং শুরু করেন। ৪০ ফুট অতিক্রম করার পর মাটির গভীর থেকে চাপ দেখা দেয়। এ সময় বোরিংয়ের পাইপ বারবার উপরের দিকে উঠে আসতে চায় এবং পাইপ দিয়ে উপচে পানি উঠতে থাকে। এতে মিস্ত্রীরা বোরিং করতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় বিশ ফুট দূরত্বে আরও একটি বোরিং শুরু করেন। কিন্তু সেখানেও ঘটে একই বিপত্তি।
ফলে দ্বিতীয় বোরিংটির কাজ বন্ধ রেখে আরও প্রায় বিশ ফুট দূরত্বে তৃতীয় বোরিং শুরু করা হয়। এখানেও বুদবুদ শব্দে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাপ অনুভূত হয়; পাইপ উপরে উঠে আসতে চায় এবং ফিনকি দিয়ে পানি উঠতে থাকে। পরে বাড়ির পূর্ব দিকে আরও একটি বোরিং সম্পন্ন করা হয়।
বোরিং মিস্ত্রী জহিরুল ও বিল্লাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বোরিংয়ের কাজ করছি, কিন্তু এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি কখনো হইনি। পরপর তিনটি বোরিং ৪০ ফুট গভীরে যাওয়ার পর গ্যাসের চাপে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে চতুর্থ বোরিং করে সাবমার্সিবল বসানো সম্ভব হয়েছে।
বাড়ির মালিক নূর মোহাম্মদ জানান, বোরিংয়ের গর্ত দিয়ে বুদবুদ শব্দে পানির সঙ্গে বাতাস বের হচ্ছে। ওই বুদবুদের উপরে আগুন জ্বালালে গ্যাসে ধরে গিয়ে আগুন বেড়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
ইউপি সদস্য হযরত আলী জানান, সাবমার্সিবলের বোরিং থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। এর আগেও কয়েকবার এ এলাকায় বোরিং করতে গেলে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি গ্যাসের মজুদ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
