
সিরাজগঞ্জে এইচআইভি এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। এ বছরের এ পর্যন্ত ২৫৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মাদক গ্রহণকারী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম বছর ৪ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয় এবং পরবর্তী বছর তা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়ায়।
এছাড়া ২০২২ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১-তে পৌঁছায় এবং এরপর ২০২৩ ও ২০২৪ সালে তুলনামূলকভাবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। তবে চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এ পর্যন্ত ২৫৫ এ।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি টেস্টিং অ্যান্ড কাউন্সেলিং সেন্টার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাউন্সেলিং সেন্টারের কাউন্সেলর মাসুদ রানা সাংবাদিকদের জানান, শনাক্তদের মধ্যে ১৮৭ জন মাদকসেবী, ৩৫ জন সাধারণ মানুষ, ২৯ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন যৌনকর্মী রয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এ পর্যন্ত ২৬ জন এবং অন্যান্যরা নিয়মিত বিনামূল্যে ওষুধ এবং কাউন্সেলিং সেবা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, একই সিরিঞ্জে মাদক নেয়া, যৌন সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, রোগের তথ্য গোপন রাখা এবং তরুণদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যেই এ জেলার অনেক স্থানে এ রোগের প্রভাব বিস্তারও ঘটছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার বলেন, মাদক গ্রহণে একই সিরিঞ্জে একাধিকবার গ্রহণ করছে মাদক গ্রহণকারীরা। এতে ওই ভাইরাস রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে এবং শনাক্তদের বেশির ভাগ মাদকসেবী হওয়ায় এ প্রবণতা রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।