ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘আ.লীগ বিগত পনেরো-ষোলো বছরে ইসলামকে নির্মূল করতে চেয়েছিল’

‘আ.লীগ বিগত পনেরো-ষোলো বছরে ইসলামকে নির্মূল করতে চেয়েছিল’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, ছাত্রশিবিরের ঢাকা দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসেন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন নামমাত্র মুসলমান হয়েছিল কিন্তু আলেমদের পক্ষে, ইসলামের পক্ষে কাজ করেনি, বরং উল্টোটা করেছে। বিগত পনেরো-ষোলো বছরে বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে নির্মূল করে দেওয়ার জন্য সকল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। এদেশের আলেম-ওলামাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও -১ আসনের আয়োজনে সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠে এক উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে আলো বন্ধ করে গভীর অন্ধকারে নির্বিচারে গুলি করে হাজার হাজার আলেম-ওলামাদের শহীদ করেছিল। আমরা দীর্ঘ ১৬ বছরে দেখেছি, আমাদের আলেমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি, মসজিদ গুলোতে স্বাধীনভাবে খুতবা দিতে পারেনি। তাদেরকে নিকৃষ্ট কথা বলবার জন্য বাধ্য করেছিল। কোরআন রাখার অপরাধে, হাসিস রাখার অপরাধে গ্রেপ্তার করে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে বছরের পর বছর জেলখানায় পাঠানো হয়েছিল।

জামায়াত নেতা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশ থেকে ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ হবে, চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী দুইটা মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিলেন এবং আলী আহসান মুজাহিদ একটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিলেন। আজও সেই মন্ত্রণালয়গুলোকে সকলে স্মরণ করে। অনেক অনুসন্ধান করেও ১ টাকার ঘুষ দুর্নীতি বের করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে যদি আলেমদের হাতে যদি দেশ পরিচালনা করতে পারি, সৎ, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি তাহলে এদেশটি সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় জেলা ঠাকুরগাঁও, এখানে যারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আছেন তারা বলেন আমরা ইসলামী অনুশাসন চাই না। যারা ইসলামী অনুশাসন চায় না, তারা ইসলাম মানে কিনা এটা সন্দেহ হয়। একজন মুসলিম হয়ে কিভাবে বলতে পারে আমি ইসলামী অনুশাসন চাই না। আমি শরিয়া আইন চাই না। যারা শরিয়া আইন চায় না, তারা ইসলাম বিদ্বেষী, ইসলামের শত্রু। আগামী দিনে আর জুলুম নির্যাতন সইতে চাই না, ঘুরে দাঁড়াতে চাই। আগামী দিনে যদি পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে জামায়াতে ইসলামীকে দিয়েই সম্ভব।

অধ্যক্ষ কফিল উদ্দীন আহম্মেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি শামীম সাঈদী, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান, জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীরসহ অনেকে।

আ.লীগ,ইসলাম,নির্মূল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত