অকেজো ও ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোই এখন রাস্তায় মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে— এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের হলরুমে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নিহতদের সাত পরিবারকে ৩৫ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহত একজনকে ৩ লাখ টাকাসহ মোট ৩৮ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের রাস্তায় এখনো অসংখ্য অকেজো ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলছে, যা কালো ধোঁয়া ছড়ানোর পাশাপাশি দুর্ঘটনার মূল কারণ। এগুলো শুধু ডাম্পিং নয়, ডিসমেন্টাল করাও সময়ের দাবি। এসব গাড়ি সরিয়ে ফেলতে পারলে দেশের সড়কের চেহারা বদলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, “ড্রাইভিং পেশায় পেশাদারিত্ব আনতে সরকার ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে। প্রশিক্ষণ শেষে বিআরটিসি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু আমাদের রাস্তায় যত গাড়ি চলার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি গাড়ি চলছে— যা সরাসরি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।”
বিআরটিএ চেয়ারম্যান তরুণদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলেন, “সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৩২ শতাংশই ৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী— যাদের নিয়ে আমরা উন্নয়নের স্বপ্ন দেখি, তারাই ঝরে যাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই লড়াই শুধু বিআরটিএ বা পুলিশের নয়— সবার। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান, পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শফিকুজ্জামান ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) সুব্রতকুমার দেবনাথ এবং বিআরটিএ ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মকর্তারা।
