
দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং খুলনার ডুমুরিয়ার সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলনকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম।
মানববন্ধনের শুরুতে মহান বিপ্লবী শহীদ হাদির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, এস এম জিন্নাহ, গাজী ফরহাদ, এস এম বিপ্লব হোসেন, জি এম সোহরাব হোসাইন, জামাল উদ্দিন, বরুন ব্যানার্জি, হোসেন আলীসহ অন্যান্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন।
বক্তারা বলেন, দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ কখনো ভালো কিছু হতে পারে না। জুলাই আন্দোলনে প্রথম আলো প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিল। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার প্রথম আলোকে সরকারি দপ্তরে নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ একটি উগ্রগোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে মব সৃষ্টি করে এ ধরনের হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সাংবাদিকদের হত্যার মতো জঘন্য কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অথচ সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে শুধু বিবৃতি দিয়েই দায় সারছে। এটি হতে পারে না। ২৪-এর অভ্যুত্থান এ জন্য হয়নি। অভ্যুত্থান হয়েছিল একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য, যেখানে সবাই মতামত ব্যক্ত করতে পারবে এবং নিরাপত্তা পাবে।
বক্তারা আরও বলেন, মহান বিপ্লবী শরিফ ওসমান হাদি নিজেও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পক্ষে ছিলেন না। তিনি তার অগ্নিঝরা বক্তব্য দিয়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। বক্তারা অবিলম্বে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
পাশাপাশি খুলনার ডুমুরিয়া শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক মিলন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।