দীর্ঘদিন পর আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করল দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। তিনটি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থার অর্থ পাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ এখন ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আইএমএফের দুটি কিস্তিতে ১ হাজার ৩০০ মিলিয়ন, এডিবির ৯০০ মিলিয়ন এবং জাইকার ঋণ সহায়তার অর্থ রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপ্রকাশিত আরেকটি পরিমাপে, যা থেকে এসডিআর, ব্যাংক ক্লিয়ারিং হিসাব এবং আকুর বিল বাদ দেওয়া হয়, সেখানে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে বর্তমান আমদানি ব্যয়ের (প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার) ভিত্তিতে সাড়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় আইএমএফ শিগগিরই আরও ৯০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করবে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (AIIB), জাপান এবং ওপেক ফান্ড থেকেও প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের মতো ঋণ আসার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, এসব অর্থ জুন মাসের মধ্যেই রিজার্ভে যোগ হবে, ফলে মাস শেষে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আবা/এসআর/২৫