করোনা ভাইরাসের আগের যে ভ্যারিয়েন্টগুলো (যেমন ডেল্টা ও ওমিক্রন) ছিল, তার চেয়ে বর্তমান সময়ের নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো (যেমন JN.1 বা FLiRT) অনেক দিক থেকেই আলাদা। এদের উপসর্গগুলোও ভিন্ন। ভিন্নতা রয়েছে সংক্রমণেও।
চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরাতন ও নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে প্রধান প্রধান পার্থক্য-
প্রথমত, নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো অনেক দ্রুত ছড়ায়। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি সহজেই অনেকজনকে সংক্রমিত করতে পারেন, এমনকি উপসর্গ হালকা থাকলেও।
দ্বিতীয়ত, নতুন ভ্যারিয়েন্টে সাধারণত হালকা উপসর্গ দেখা যায়-সর্দি, কাশি, হালকা জ্বর বা গলা ব্যথা। অনেক সময় মনে হয় এটি বুঝি সাধারণ ঠান্ডা, ফলে মানুষ অবহেলা করে বাইরে চলাফেরা করে, যা ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়।
তৃতীয়ত, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোতে ভ্যাকসিন খুব ভালোভাবে সুরক্ষা দিত, তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টে ভাইরাসের গঠন কিছুটা বদলে যাওয়ায় পুরোনো টিকার কার্যকারিতা কিছুটা কমে যেতে পারে।
চতুর্থত, আগের ভ্যারিয়েন্টের সময় মানুষ উপসর্গ বুঝলেই সতর্ক হতো, পরীক্ষা করাতো বা আলাদা থাকতো। কিন্তু এখন হালকা উপসর্গ দেখে অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না, ফলে ভাইরাস চুপিসারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে পূর্বের ভ্যাকসিন এখনো মারাত্মক জটিলতা রোধে সহায়ক। তবু বুস্টার ডোজ নেওয়া বা টিকা হালনাগাদ করা গুরুত্বপূর্ণ। নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় জনসাধারণকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা, উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করা এবং টিকা নেওয়ার মতো অভ্যাসগুলো আমাদের সুরক্ষার প্রধান হাতিয়ার।