ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতির মুখে ভারত নিজেই

বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতির মুখে ভারত নিজেই

ভারতীয় স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ভারতীয়রাই। অন্তত পশ্চিমবঙ্গে এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে যাচ্ছে।

রোববার (১৮ মে) রাতে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশ থেকে কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপের ফলে পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান এবং পরিবহন খাতে প্রভাব পড়তে পারে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ির ফলে সীমান্ত রাজ্যে প্রভাব পড়লেও তাদের কাছে জাতীয় স্বার্থই বড়।

এর আগে গত শনিবার ভারত সরকার একটি নির্দেশিকায় বাংলাদেশ থেকে প্রস্তুত তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের মতো কিছু পণ্যের আমদানিতে নির্দিষ্ট বন্দর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে। এর মাধ্যমে মূলত স্থলবন্দর দিয়ে এ ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশও ভারতীয় কিছু পণ্যের ওপর অনুরূপ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএএসডব্লিউএ) সদস্য কার্তিক চক্রবর্তী জানান, যখন ট্রান্সশিপমেন্ট চালু ছিল, তখন ৬০-৮০টি ট্রাক পোশাক নিয়ে প্রবেশ করত। ট্রান্সশিপমেন্ট নিষিদ্ধ করার পরেও প্রতিদিন ২০-৩০টি ট্রাকে তৈরি পোশাক আসত। নতুন নির্দেশনার ফলে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সীমান্ত এলাকায় কর্মরত চালক, হেলপার ও অন্যান্য লজিস্টিক কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

তিনি আরও জানান, সমুদ্রপথে পণ্য আনতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগে, যেখানে স্থলপথে সময় লাগে মাত্র ৩-৪ দিন। ফলে ব্যবসায়ীরা সমুদ্রপথে পণ্য আনতে উৎসাহী নন।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক এখন থেকে শুধুমাত্র নাভাশেবা এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে। কোনও স্থলবন্দর দিয়ে এই পণ্য ঢুকবে না।

অন্যদিকে, ফলমূল, ফল-স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বনেটেড ড্রিংকস, প্রক্রিয়াজাত খাবার (যেমন: বিস্কুট, চিপস, কনফেকশনারি), তুলা ও তুলা বর্জ্য, প্লাস্টিকজাত ও পিভিসি পণ্য, ডাইস, প্লাস্টিসাইজার, গ্র্যানুলস ও কাঠের আসবাব- এসব পণ্যের আমদানি আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের এলসিএস (ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন) এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি এলসিএস দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশি পণ্য,নিষেধাজ্ঞা,ভারত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত