ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মার্কিন হামলার পর পুতিনের ‘আরও সক্রিয় ভূমিকা চাইছেন’ খামেনি

মার্কিন হামলার পর পুতিনের ‘আরও সক্রিয় ভূমিকা চাইছেন’ খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য মস্কো পাঠিয়েছেন। সোমবার (২৩ জুন) এ সফরের উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার কাছ থেকে আরও সরাসরি ও জোরালো সহায়তা চাওয়া। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খামেনির একটি ব্যক্তিগত চিঠিও পুতিনের হাতে তুলে দেবেন আরাঘচি।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযানের পর, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েল খোলাখুলিভাবে খামেনিকে হত্যার হুমকি এবং ইরানে ‘শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের’ ইঙ্গিত দিয়েছেন। এসব পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যকে বিপজ্জনক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। যদিও পুতিন ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন, তবে মার্কিন হামলার বিষয়ে তিনি এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসের খবরে বলা হয়, আরাঘচি ও পুতিনের আলোচনায় চলমান সংকট, পারমাণবিক কর্মসূচি এবং রুশ-ইরানি কৌশলগত সমন্বয়ের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। আরাঘচির বরাতে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইরান মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে নিজেদের অবস্থান সমন্বয় করছে। যদিও এখন পর্যন্ত তেহরান মস্কোর সহায়তায় সন্তুষ্ট নয়, এবং তারা চায় রাশিয়া আরও সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরোধিতায় অংশ নিক।

ইরান বিশেষ করে আশঙ্কা করছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিলে আয়াতুল্লাহ খামেনির সরাসরি হত্যাচেষ্টা চালাতে পারে। তবে পুতিন এখনো এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট অবস্থান নেননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, ইসরায়েল তাকে আশ্বস্ত করেছে যে ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

উল্লেখ্য, রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ। যদিও ট্রাম্প তাঁর প্রথম প্রেসিডেন্সিতে সেই চুক্তি বাতিল করেন। বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যস্ত পুতিন এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর ইচ্ছা দেখাননি- বিশেষ করে যখন ট্রাম্প মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। এসব হিসাব-নিকাশের মধ্যে মস্কোর ভূমিকাই এখন ইরানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মার্কিন,হামলা,পুতিন,সক্রিয় ভূমিকা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত