ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বরকতময় শাবান মাসের আমল

বরকতময় শাবান মাসের আমল

আরবি বর্ষপঞ্জিকার সম্মানিত চারটি মাসের মধ্যে অন্যতম মাস শাবান। রমজানের আগের মাস হওয়ায় বান্দার জন্য শাবান মাসও বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। এছাড়া এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে বিশেষ একটি রাত, যা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পরিচিত।

ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’ মূলত হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটিতে পালন করা হয়।

পবিত্র শাবান মাসকে রমজানের প্রস্তুতির মাসও বলা হয়। এজন্য রাসুল (সা.) রমজানের উদ্দেশ্যে এ মাসের চাঁদের হিসাব রাখতে বলেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- তোমরা রমজানের উদ্দেশ্যে শাবানের চাঁদের হিসাব রাখবে। (তিরমিজী, হাদিস: ৬৮৪)

অন্যদিকে শাবান মাসে রোজা রাখা সুন্নত। নবীজি এই মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) শাবান মাসের চেয়ে বেশি (নফল) সাওম (রোজা) কোনো মাসে পালন করতেন না। তিনি প্রায় পুরা শাবান মাসই সাওম পালন করতেন এবং বলতেন, তোমাদের সাধ্যে যতটুকু কুলোয় ততটুকু (নফল) আমল করো। কারণ, তোমরা (আমল করতে করতে) ক্লান্ত হয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ তা’য়ালা (সওয়াব দান) বন্ধ করেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৪৬)

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, একবার রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, রমজানের পর সবচেয়ে ফজিলতের রোজা কোনটি? জবাবে নবীজি বললেন, রমজানের সম্মানার্থে শাবান (সিয়াম পালন করা)। আবার প্রশ্ন করা হলো- কোন সা’দকা সবচেয়ে ফজিলতের? জবাবে রাসুল (সা.) বললেন, রমজান মাসের সা’দকা। (তিরমিজী, হাদিস: ৬৬০)

এ ক্ষেত্রে উত্তম হলো শাবান মাসের প্রথম দিকে বেশি বেশি রোজা রাখা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, শাবানের অর্ধাংশ যখন বাকি থাকে তখন আর তোমরা সিয়াম পালন করবে না। (তিরমিজী, হাদিস: ৭৩৬)

এছাড়াও ফজিলতপূর্ণ মাস হওয়ায় লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাতের রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কুরআন তিলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শবে বরাতের সব আমলই নফল। আর নফল আমল নিজ নিজ ঘরে একাগ্রচিত্তে আদায় করাই উত্তম।

শাবান,আমল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত