ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বাফার সার গোডাউনের সামনে খোলা আকাশের নিচে আমদানি করা ৩ হাজার বস্তা ইউরিয়া সার পড়ে আছে। খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে এসব সারে জমাট বেঁধে কৃষিক্ষেতে ব্যবহারের অনুপযোগী হচ্ছে। আমদানি করা এসব সার দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ নেয়নি কোনো ব্যবস্থা। কর্তৃপক্ষের দাবি, গোডাউনে জায়গা না থাকায় গোডাউন চত্ত্বরে এসব সার রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাফার সার গোডাউনের সামনে কয়েক হাজার বস্তা ইউরিয়া সার খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। এখান থেকে ট্রাকে ভরে প্রতিদিন ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গার জেলার তালিকাভুক্ত ডিলারদের কাছে সার যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক ইউরিয়া সার দুই জেলার ডিলারদের কাছে যায় এখান থেকে। প্রায় এক যুগ নিয়মিত খোলা আকাশের নিচে ইউরিয়া সার পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হলেও গোডাউন সম্প্রসারণ বা নতুন গোডাউন করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
কালীগঞ্জ বাফার গোডাউনের তথ্য থেকে জানা গেছে, কালীগঞ্জ বাফার সার গোডাউনে ৬ হাজার বস্তা ইউরিয়া সারের ধারন ক্ষমতা আছে। এ ছাড়া শহরের আরেকটি অস্থায়ী গোডাউনে ২ হাজার বস্তা সার রাখা হয়। ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার তালিকাভুক্ত ১২৬ জন ডিলার নিয়মিত ইউরিয়া সার নিয়ে যান এখান থেকে।
সুমন হোসেন নামের এক ট্রাক চালক বলেন, ‘আমি নিয়মিত এখান থেকে একজন ডিলারের সার নিয়ে যায়। গোডাউনের সামনে সারা বছরই সার পড়ে থাকতে দেখি। এতদিনেও নতুন গোডাউন হলো না কিভাবে বুঝলাম না।’
কালীগঞ্জের মাজেদ শেখ নামের স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘খোলা জায়গায় ইউরিয়া রাখলে এমনি জমাট বাঁধে। এসব সার জমিতে ব্যবহার করলে লাভ কমই হবে। আবার ক্ষতিও হতে পারে।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ বাফার সার গোডাউনের সহকারী ব্যবস্থাপক (ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা) আসাদুজ্জামান শাওন বলেন, ‘এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি, দ্রুত গোডাউন সমস্যার সমাধান হবে।’