অনলাইন সংস্করণ
১৩:১১, ১৩ মার্চ, ২০২৫
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী সেই শিশুর জীবন অত্যন্ত সংকটাপন্ন। বৃহস্পতিবার তার আরও দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
তারা জানিয়েছে, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী সেই শিশুর জীবন অত্যন্ত সংকটাপন্ন। বৃহস্পতিবার তার আরও দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে, যার দ্বিতীয়বারে প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দিতে হয়েছে। ব্রেন ফাংশন করছে না, রক্ত চাপ ও অক্সিজেন লেভেলও অনেক কম।
এর আগে, বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয় বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এসময় সেনাবাহিনী শিশুটির সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চায়।
সেনাবাহিনী জানায়, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
পোস্টে বলা হয়, শিশুটি আজ (বুধবার) চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ মিমি পারদ কিংবা তার চেয়ে নিম্নমুখী।
উল্লেখ্য, আট বছরের শিশুটি গত বুধবার (৫ মার্চ) বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
