চামড়ায় দেরিতে লবণ দেওয়ায় অনেকেই কোরবানির পশুর চামড়া থেকে কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তবে তিনি দাবি করেন, লবণযুক্ত ভালো মানের চামড়ার দর স্থিতিশীল এবং সরকারের নজরদারির ফলে এবার চামড়ার নষ্ট হওয়ার পরিমাণ ছিল কম।
সোমবার (৯ জুন) সাভারের চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব জানান। উপদেষ্টা জানান, এখন পর্যন্ত শিল্পনগরীতে ৩ লাখ ৭৮ হাজার পিস এবং ঢাকায় সাড়ে ৭ লাখ পিস চামড়া পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, “চামড়া সুরক্ষায় এ বছর ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।” তবে ল্যাম্পি স্কিন রোগের কারণে প্রায় ৩০% চামড়া ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন জানিয়েছেন, এবার কাঁচা চামড়ার বাজারমূল্য গত বছরের তুলনায় বেশি, তবে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী আধা-পচা চামড়া বেশি দামে বিক্রি করে বাজারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, “ভালো মানের চামড়া ১,২০০–১,৩০০ টাকা এবং সাধারণ মানেরটি ৭০০–৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য ছড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে।”
নির্ধারিত মূল্য (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ২৬ মে):
ঢাকায় গরুর চামড়া (প্রতি বর্গফুট): ৬০–৬৫ টাকা
ঢাকার বাইরে: ৫৫–৬০ টাকা
সর্বনিম্ন দাম (ঢাকা): ১,৩৫০ টাকা
সর্বনিম্ন দাম (ঢাকার বাইরে): ১,১৫০ টাকা
খাসি: ২২–২৭ টাকা | বকরি: ২০–২২ টাকা
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছর কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু প্রস্তুত, চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার। ট্যানারি মালিকদের লক্ষ্য ৮০–৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ।
তবে সঠিক সংরক্ষণ ও বাজার নজরদারির ঘাটতি থাকলে চামড়া শিল্পে ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।