জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের অপসারণের দাবিতে এবার ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি জানায়, ২৭ জুনের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে ২৮ জুন তারা এনবিআর অভিমুখে পদযাত্রা করবে।
এর আগে, চেয়ারম্যানকে ‘সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী আমলা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ তোলে ঐক্য পরিষদ। তারা জানিয়েছে, আগামী শনিবার (২৮ জুন) থেকে দাবি না মানলে দেশের সব কর, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত ২৩ জুন একই দাবিতে ঢাকায় এনবিআরের বিভিন্ন দপ্তরের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। এদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পালন করা হয় কলমবিরতি। কেউ কেউ প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে কর্মসূচিতে অংশ নেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে এনবিআর ভবনের নিচতলায় হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দেওয়া হলে পুলিশ বাধা দেয়, যা বেআইনি বলে দাবি করে ঐক্য পরিষদ নেতারা পুলিশের কাছে গণগ্রেপ্তারের আহ্বান জানান।
চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি এনবিআরের আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে হঠাৎ ও বিধিবহির্ভূতভাবে বদলির অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। সীমান্তবর্তী এলাকায় বদলির মৌখিক নির্দেশনাকেও নিপীড়নমূলক বলে দাবি করা হয়। এর আগে, এনবিআরকে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি ভাগে বিভক্ত করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করলে তার বিরোধিতায় কলমবিরতি ও নানা কর্মসূচি চালায় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের আগে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে পিছু হটা হয়, তবে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি থেকে সরে আসেনি।
এনবিআর ভবনে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করার পর কড়া নিরাপত্তায় চেয়ারে ফেরেন চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান, তবে আন্দোলন থামেনি-এখন সেটি আরও বিস্তৃত হওয়ার পথে।