জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর এক কমিশনারসহ আরও পাঁচ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তথ্যানুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সম্প্রতি এনবিআরের সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তথ্যানুসন্ধানের আওতায় থাকা পাঁচ কর্মকর্তা হলেন—
কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন (কমিশনার, ঢাকা পূর্ব, কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট)
মো. কামরুজ্জামান (কমিশনার, বেনাপোল স্থলবন্দর)
মো. মামুন মিয়া (উপ কর কমিশনার)
সেহেলা সিদ্দিকা (অতিরিক্ত কর কমিশনার, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট)
লোকমান আহমেদ (কর পরিদর্শক, কর অঞ্চল-২)
তথ্যমতে, সেহেলা সিদ্দিকা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে রবি ও মঙ্গলবার আরও ১১ এনবিআর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। উল্লেখযোগ্যভাবে, এদের অনেকেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন।
দুদকের নথিতে অভিযোগ করা হয়, কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঘুষের বিনিময়ে কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেন এবং সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতির জন্য দায়ী। এমনকি ঘুষ না পেলে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে কর্মকর্তারা এক সপ্তাহব্যাপী কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং দুই দিনের শাটডাউন পালন করেন। পরে সরকারের হস্তক্ষেপে এবং ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয় এবং কর্মকর্তারা কাজে ফেরেন।
দুদকের এ উদ্যোগ আন্দোলন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য ও অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে, যদিও প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, অনুসন্ধানটি শুধুই দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে।