
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হার্টের (হৃদযন্ত্রে) বাইপাস সার্জারি শুরু হয়েছে। দেশের খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির এই অস্ত্রোপচার পরিচালনা করছেন।
শনিবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে এ অপারেশন শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় অপারেশন শুরু হয়েছে এবং এখনো চলছে। এখন ভেতরের খবর পাওয়া যাবে না। অন্তত ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, বাইপাস সার্জারি হলো এক ধরনের হার্ট অপারেশন, যেখানে রক্ত চলাচলের বন্ধ ধমনির পাশ দিয়ে শরীরের অন্য রক্তনালী দিয়ে নতুন একটি পথ তৈরি করা হয়, যাতে রক্ত স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে।
এর আগে, শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রিয় রাহবারের সুস্থতা কামনায় আমরা যেন আল্লাহর দরবারে নফল ইবাদতের মাধ্যমে– সালাত, সিয়াম ও সাদাকাহর মাধ্যমে একান্তভাবে দোয়া করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের রাহবারকে দ্রুত আরোগ্য দান করেন এবং পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে দ্বীনের ময়দানে ফিরে আসার তাওফিক দেন, এই দোয়াই করছি।’
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমীরে জামায়াতকে তাৎক্ষণিকভাবে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা সেদিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় বড় কোনো জটিলতা পাননি, তবে ধারণা করেছিলেন তিনি ডিহাইড্রেশনে ভুগেছেন।
এরপর ধারাবাহিকভাবে তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় ডা. শফিকুর রহমানের হার্টে ৫টি ব্লক ধরা পড়ে। এসব ব্লকের মধ্যে ৩টি বেশি গুরুতর ও দুটি প্রায় ৫০ শতাংশের মতো ব্লক। গুরুতর তিনটি ব্লক অপসারণে বাইপাস সার্জারি করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ডা. শফিকুর রহমানের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা না নিয়ে দেশেই চিকিৎসা নিতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেন। দেশের চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।