অনলাইন সংস্করণ
১৮:০৫, ০৭ আগস্ট, ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষণাপত্র পাঠের দিনে কক্সবাজার ভ্রমণে যাওয়ায় পাঁচ শীর্ষ নেতাকে শোকজ করে দলটি। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহও ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) তিনি লিখিত জবাব দিয়েছেন এবং সেটি প্রকাশও করেছেন।
জবাবে তিনি বলেন, ঘোষণাপত্র পাঠের আয়োজনে তিনি উপস্থিত থাকবেন না, এই সিদ্ধান্ত তিনি আগেই নিয়েছিলেন। কারণ, ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়ায় দেখা যায় যে তা গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শহিদ, আহত ও নেতৃত্বদানকারী অনেকের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে। তাদের মতামত নেওয়া হয়নি, এমনকি অন্তর্ভুক্তির ন্যূনতম সম্মানটুকুও দেখানো হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঘোষণাপত্রে সংবিধান সংস্কারের দায় ‘পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর’ ছেড়ে দেওয়াকে হাসনাত একটি “অসত্য দাবি” এবং ‘সংবিধান রচনার সংগ্রামের বিরুদ্ধে বিপরীত বার্তা’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি দলের মূল আদর্শের অংশ, আর সেই আদর্শকেই ভঙ্গ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই প্রেক্ষাপটে তিনি অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ঢাকার বাইরে যান। পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্কুল বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান এবং সেই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে দলের শীর্ষ দুই নেতাকে (আহ্বায়ক ও মুখ্য সমন্বয়ক) অবহিত করেন। তাদের সম্মতির ভিত্তিতেই সফরে যান বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে পরবর্তীতে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি, ভিডিও ধারণ, এবং মিডিয়ার “ক্রাইম থ্রিলার স্টাইলের” পরিবেশনাকে তিনি “প্রোপাগান্ডা” ও “ডিমোনাইজেশন কৌশল” হিসেবে বর্ণনা করেন। এসব প্রচারণার মাধ্যমে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র তৈরি করে তাঁদের রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেন হাসনাত।
সবচেয়ে লজ্জাজনক ও নিন্দনীয় বিষয় হিসেবে তিনি তুলে ধরেন দলের আরেক নেত্রী তাসনিম জারাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া ও কিছু মিডিয়ার ‘অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত স্লাটশেইমিং’ প্রচারণা। তিনি মনে করেন, এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে নিরুৎসাহিত করা।
সবশেষে হাসনাত দলের প্রতি অনুরোধ জানান, তারা যেন এই ঘটনার পেছনে থাকা গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, বরং উল্টোভাবে যেভাবে নেতাদের শোকজ করা হয়েছে, তাতে মিথ্যা অভিযোগের পক্ষেই ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে বলে তার বক্তব্য।