
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। তার স্ত্রী একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক। তাই চিকিৎসা খাতে তিনি (তারেক রহমান) বেশি গুরুত্ব দেবেন। কারণ, ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা বিশাল একটা দায়িত্ব।
ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে ৩১ দফা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেগুলোর মধ্যে এই জাতির সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দফাগুলো রয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ্যযোগ্যভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই শুধু ভোটের অধিকার নয়, মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
নিজের বাবার চিকিৎসার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তখন একজন চিকিৎসককে বলেছিলাম আমাদের ভারতে আসতে হয় কেন? আপনাদের চিকিৎসকের মান কি আমাদের চেয়ে বেশি? উত্তরে তিনি বলছিলেন— কোনোমতেই না, আপনাদের চিকিৎসকের মান আমাদের সমান তো বটেই; কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে বেশি। সমস্যাটা সিস্টেমে, যার ফলে আপনাদের চিকিৎসকরা নিজেদের কাজ ঠিকভাবে করতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাস্থ্য শিল্পের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করি। তবে বর্তমানে যারা ওষুধ বানাচ্ছেন তারা বলছেন, বর্তমানে এই খাতের এতই ভয়াবহ অবস্থা যে, ওষুধ তৈরির ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাদের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপদেষ্টা এমন কিছু নিয়মনীতি করছেন যার কারণে এই শিল্প ধ্বংসের পথে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ওষুধ তৈরির কারখানাগুলো।
এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের বেশিরভাগ নীতিই আত্মঘাতী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, পারস্পরিক হিংসার যে কালচার তৈরী করা হয়েছে তা আমাদের ধ্বংস করেছে, আমাদের এ কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে।