
জেলা পরিষদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি।
শনিবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা গাবতলী বেড়ীবাদ জেলা পরিষদ কনভেনশন হলে সকাল ১০টায় আয়োজিত সমিতির সাধারণ সভার নেতৃবৃন্দ এ আহ্বান যানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবত পেনশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ স্থানীয় সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান পেনশন পেয়ে আসছে। চাকুরির পরে পেনশন না পাওয়ায় অবসর গ্রহণ করে আর্থিকভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তারা বলেন দীর্ঘদিন যাবত এই বৈষম্য চলে আসছে। অবিলম্বে এই বৈষম্য দূর করার জন্য তারা সরকারের প্রতি আবেদন জানান। তারা জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারীদের পেনশন বিধিমালা-২৫ প্রণয়ন করার দাবি করেন।
জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতির সভাপতি কে এম রাশেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ চুন্নু মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ এনামুল হক বশির, মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সমিতির নির্বাচন কমিশনার মোঃ আকরাম আলী, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ নুর হোসেন, মাদারীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লতিফা ইয়াসমিন, ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীর সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শেখ মোহিউদ্দিন রাসেল, প্রমুখ।
এ ছাড়া বক্তারা জেলা পরিষদের চলমান অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন, ডাকবাংলো ও অডিটোরিয়ামসহ বিভিন্নও প্রতিষ্ঠানের দারোয়ান কাম কেয়ারটেকার পদ অর্গানোগ্রাম মুক্ত করা ও মাস্টার রোল কর্মচারীদের নিয়মিত করার জোর দাবি জানান।
সভায় সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত ২১ জন কর্মকর্তাকে সমিতির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রধান করা হয়। সভায় দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশ নেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি