তেলের পিঠা
যা লাগবে : চালের গুঁড়া ২ কাপ, ময়দা হাফ কাপ, খেজুরের গুড় বা চিনি এক কাপ, লবণ এক চিমটি, তেল ভাজার জন্য, বেকিং সোডা সামান্য (ইচ্ছা), পানি (পরিমাণ মতো)।
যেভাবে তৈরি করবেন : পাত্রে পানি দিয়ে হালকা গরম করে সব উপকরণ দিন। ভালো করে মিশিয়ে (ঘন হবে) মিশ্রণটি আধাঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। এবার ননস্টিকি পাত্রে তেল গরম করুন। তেল খুব ভালোভাবে গরম করতে হবে। বড় গোল চামচ দিয়ে মিশ্রণ তেলে ছাড়ুন। কয়েক সেকেন্ডেই পিঠাটি ফুলে উঠবে। পিঠার দুই পাশ উল্টে কিছুক্ষণ পর তেল থেকে তুলে নিন। এভাবে সবগুলো পিঠা তৈরি করে গরম গরম পরিবেশন করুন।
হাঁসের মাংস ভুনা
উপকরণ : হাঁসের মাংস ২ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি, এলাচ ৫টি, লবঙ্গ ৪টি, দারুচিনি ২টি, আস্ত গোলমরিচ ১০টি, শাহী গরম মসলা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদের গুঁড়া দেড় চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ। এছাড়া ধনিয়া গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ বাটা দেড় টেবিল চামচ, সরিষার তেল পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল পরিমাণ মতো, আস্ত কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, গরম পানি ২ কাপ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী : হাঁস চামড়াসহ টুকরা করে নেবেন। এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে আস্ত গরম মসলা দিয়ে এক মিনিট ভেজে পেঁয়াজ ও আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এবার ভাজা জিরা গুঁড়া আর শাহী গরম মসলা বাদে অন্য সব মসলা দিয়ে কষাতে হবে। মসলা কষানো হলে তাতে হাঁসের মাংস দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। মিনিট পনেরো এভাবে কষান। এরপর গরম পানি আর লবণ দিয়ে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে সেদ্ধ হতে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে ভুনা হয়ে এলে শাহী গরম মসলা গুঁড়া আর ভাজা জিরা গুঁড়া ছড়িয়ে ১০ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন। গরম ভাত, চালের আটার রুটি, পরোটা, পোলাও কিংবা খিচুড়ির সঙ্গে খেতে বেশি ভালো লাগবে।
নিহারী
গরুর পায়া : গরুর পা ২টি (পছন্দমতো টুকরা করে কাটা), ২ টেবিল চামচ তেল, ১ কাপ পেঁয়াজ (মোটা করে কাটা), দেড় টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা, ১ টেবিল চামচ হলুদ গুড়া, ১ টেবিল চামচ মরিচ গুড়া, ১ চা চামুচ ধনিয়ার গুড়া, ১ চা চামচ জিরার গুড়া, ৫-৬টি ছোট এলাচ, ৪-৫টি লবঙ্গ, ২ টুকরা দারুচিনি, ২টি তেজপাতা, স্বাদ মতো লবণ, ১ টেবিল চামচ আটা।
বাগারের উপকরণ : ১/৪ কাপ তেল, ১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি, শুকনা মরিচণ্ড ৪/৫টি।
রন্ধন প্রণালী : ১ প্রথমে কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি রং করে ভেজে, আদা পেঁয়াজ ও রসুন বাটা দিয়ে ২ মিনিট ভেজে নেবো। এবার গরম মশলা ও গুরা মশলাগুলো দিয়ে দেবো। ২ মশলা ২ মিনিট কষিয়ে পায়াগুলো দিয়ে দেবো। পায়াগুলো ডুবো করে পানি দিয়ে দেবো। প্রেশার কুকারে ৪৫-৫০ মিনিট রান্না করব (মাংস বিনা প্রেশার কুকারে রান্নার করলে ৪-৫ ঘণ্টা অল্প আঁচে রান্না করব) ৩ মাংস রান্না হয়ে এলে ১ কাপ পানিতে ১ টেবিল-চামচ আটা গুলিয়ে নিহারিতে দেওয়ার সাথে সাথে দ্রুত মিলিয়ে দেবো। ৪ কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ হালকা বাদামি রং করে ভেজে রসুন কুচি ও মরিচগুলো দিয়ে দেবো। ২ মিনিট ভেজে নিহারিতে দিয়ে দেবো। এবার ঢেকে ৫ মিনিট রান্না করে গরম গরম পরিবেশন করব রুটি, পরোটা বা নান দিয়ে।
দুধ চিতই
ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন পিঠার সম্ভার। এই শীতে সকাল কিংবা বিকাল দুধ চিতই বানিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপভোগ করার আনন্দই অন্য রকম। দেখে নিই দুধ চিতই তৈরির পুরো প্রণালী।
দুধ চিতই তৈরির উপকরণ : ৩ কাপ আতপ চাল, লবণ, ২.৫ কাপ খেজুরের গুড়, ২ লিটার দুধ, ২-৩টি দারুচিনি, ২টি এলাচ, ৩ কাপ পানি, কিসমিস ইচ্ছামত,
প্রণালী : চাল ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর মিহি করে বেটে সামান্য লবন দিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর মিশ্রণে পরিমান মতো কুসুম গরম পানি দিয়ে গোলা তৈরি করুন। খেয়াল রাখতে হবে গোলা যেন খুব ঘন কিংবা পাতলা না হয়। লোহার কড়াই কিংবা চিতই পিঠার জন্য মাটির তৈরি তাওয়া বা খোলা গরম করে তাতে সামান্য সরিষা কিংবা সয়াবিন তেল মাখান। এরপর বড় চামচের এক চামচ গোলা পিঠার খোলায় দিয়ে ঢেকে দিন। এরপর ঢাকনায় সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন, ৪ থেকে ৫ মিনিট পর পিঠা তুলে ফেলুন। খেজুরের গুড় পানি দিয়ে মিশিয়ে চুলায় দিন। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে এলাচ, দারুচিনি, কিসমিস দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। ঠাণ্ডা হলে দুধ মিশিয়ে সিরা তৈরি করুন (গরম অবস্থায় গুড়ের মিশ্রণ মেশালে দুধ নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভবনা থেকে যায়)। এরপর সিরা আবার চুলায় দিন। ২ লিটার দুধ ঘন হয়ে ১ লিটার হলে গরম অবস্থায় পিঠা সিরায় ভেজান। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর পরিবেশন করুন।