ঢাকা শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অপার সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দুর্লভ ফুল ‘কুরচি’

খন্দকার মাহফুজুল ইসলাম
অপার সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দুর্লভ ফুল ‘কুরচি’

প্রথম দেখায় আপনার মনে হতে পারে, জাপানের বসন্তফুল চেরি ব্লসম মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে সরকারি তিতুমীর কলেজ প্রাঙ্গণে। পাতা নেই, ফল নেই, শুধু বৃক্ষ জুড়ে ফুল আর ফুল। কিন্তু না, গাছটির নাম কুরচি বা কুরচিফুল  গাছ। মাঝারি আকৃতির এই বৃক্ষে অজস্র সাদা ফুল একে দিয়েছে এক অপরূপ সৌন্দর্য।

তিতুমীর কলেজের শহিদ মামুন চত্ত্বরে রয়েছে এই কুরচি ফুলের দুটি দৃষ্টিনন্দন গাছ। ভরা বসন্তের শেষে, বৈশাখের রৌদ্রজ্বল ও বৃষ্টিমুখর দিনে, সারা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে তুলে এই গাছ। গাছের নিচে শহিদ মামুন চত্ত্বরে বসার জায়গাগুলোতে গাছের পড়ে থাকা হাজারো পাপড়ি বিমোহিত করে তুলে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের। অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত এই গাছটি কুরচি নাম ছাড়াও কুটজ, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, কলিঙ্গ প্রাবৃষ্য, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, কোটিশ্বর নামেও পরিচিত। শুধু সৌন্দর্যই না, গাছটির রয়েছে ঔষধি গুণাগুণ। ফুল, ফল, বাকল পেটের রোগ সারাতে মাহা ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। শীতের শেষে পাতা ঝরে গেলে বসন্তের শেষে এই গাছ কচি পাতায় ভরে উঠে। এরপর সারা বর্ষা ধরে  কয়েকবার ফোটে গাছের আকর্ষণীয় রঙ আর সৌন্দর্যময় ফুল। তখন গাছটি যেন হয়ে উঠে আরও যৌবনা। খুব সম্ভবত কুরচির এই সৌন্দর্য দেখেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বনবাণী গ্রন্থে লিখেছিলেন- কুরর্চি, তোমার লাগি পদ্মেরে ভুলেছে অন্যমনা, যে ভ্রমর, শুনি নাকি, তারে কবি করেছে ভর্ৎসনা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত