বাঙালির পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে বগুড়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক পিঠা উৎসব। গতকাল সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক ও চার্চ্চেস অব গড মিশন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে উৎসবটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠার প্রদর্শনী ছিল অন্যতম আকর্ষণ। সুজির পিতা, ডিম সুন্দরী, তক্তি, তালের কুশলী, নারেকেল কুশলী, মালপোয়া, মুগের পুলি পিঠার সাথে খেজুরের গুড় পায়েশ, নারকেল নাড্ডু সাজানো হয়েছিল পিঠার স্টলগুলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চার্চেস অব গড মিশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. জন থিওটোনিয়াম কস্তা। তিনি বলেন, বাঙালি হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী আর শীতের সময় পিঠাপুলির স্বাদ সব থেকে ভালো পাওয়া যায় গ্রামে। এ উৎসবের মধ্যদিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে। পিঠা আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। চার্চ্চেস গড মিশন বগুড়ার এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডোনাল্ড দাস বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো গ্রামের পিঠাণ্ডপুলির আমেজকে ফুটিয়ে তুলতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের কারণে আমাদের গ্রামের সেই পিঠাণ্ডপুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি। এবার এ উৎসবে বিলুপ্তি হওয়া সহ নতুন নতুন পিঠা নিয়ে স্টল সাজানো হয়েছে। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাঙালি ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করার চেষ্টা করছি। এই উৎসব তাদের সৃজনশীলতা ও দলগত কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে।