যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের মঙ্গলকোট-খান জাহান আলী দিঘীর পাড় সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কর্পেটিং ওঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় কার্পেটিং ওঠে গিয়ে ও মাছের ঘেরের ভেতর ভেঙে পড়ায় মানুষের জন্য মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় ওই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পথচারিরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি গ্রামে বসবাসরত ২ হাজার মানুষসহ কেশবপুর পৌরসভার সরফাবাদ, বাজিতপুর, মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মঙ্গলকোট, পাচপোতা, বসুন্তিয়া, পাচারই, রামকৃষ্ণপুর, মজিদপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর, মজিদপুর, কুশুলদিয়া, আটন্ডা, শ্রীফলা, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের হিজলডাঙ্গা, ভবানীপুর, বাউশলা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন এলাকায় তাদের জরুরি কাজ মেটাতে মঙ্গলকোট-খান জাহান আলী দিঘীর পাড় সড়কটি যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কর্পেটিং ওঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় কার্পেটিং ওঠে গিয়ে মানুষের জন্য মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পথচারিরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৩ কি. মিটারের সড়কটির মঙ্গলকোট থেকে প্রায় ১ কি.মি. কর্পেটিং করা হয় ২০০৬-০৭ অর্থ বছরের প্রথম দিকে।
পরবর্তীকে খানজাহান আলীর দিঘীর পাড় থেকে ইটের সলিং এর কাজ করা হলেও এখনও সড়কটির প্রায় ৫’শ মিটার কাঁচা রয়েছে। বিদ্যানন্দকাটি গ্রামসহ উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামবাসীর চলাচল ও সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার দূর দূরান্ত থেকে পীর খান জাহান আলীর ভক্তদের খান জাহান আলী দিঘীর পাড়ের দরগাহে আগমনের একমাত্র মাধ্যম জরাজীর্ণ অবহেলিত এ সড়কটি সংস্কারের অভাবে ১ কি. মিটারের পিচের রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় কর্পেটিং ওঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে শত শত ছোট বড় গর্তের। এর ফলে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জনদূর্ভোগের কারণে মানুষের কাছে এ সড়কটি অভিশাপ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। এ পথে চলাচল কারী ভূক্তভোগীরা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পলাশ বলেন, সড়কটির আইডি পাওয়া যাচ্ছে না। আইডি ফিরে পেতে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন। প্রায় ৩ কি. মিটারের সড়কটির মঙ্গলকোট থেকে ১ কি. মি. কর্পেটিং করা হয় ২০০৬ সালের দিকে। পরবর্তীকে খান জাহান আলীর দিঘীর পাড় থেকে ইটের সলিং এর কাজ করা হলেও এখনও সড়কটির প্রায় ৫’শ মিটার কাঁচা রয়েছে। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার দূর দূরান্ত থেকে মজিদপুর ইউনিয়নের পীর খান জাহান আলীর ভক্তদের খান জাহান আলীর দিঘীর পাড়ের দরগাহে আগমন ঘটে। তাদের আগমনের একমাত্র মাধ্যম জরাজীর্ণ অবহেলিত এ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে তিনি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, সড়কটির আইডি নাম্বারট নেই। আইডি নাম্বারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। নাম্বার পড়লে আগামী অর্থ বছরে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
