ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ

নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপায় বাংলা ১৪৩২ সনকে বরণ করা হয়েছে। গত সোমবার বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দেশব্যাপী ছিল ঐতিহ্যের সমারোহ। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে হয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা। বসেছে গ্রামীণমেলা, লোকগানের আসর। এছাড়া বহুদিন আগের রীতি হালখাতার আয়োজনও ছিল। বলতে গেলে উৎসবে উৎসবে মুখরিত ছিল গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র।

কক্সবাজার : সমুদ্রসৈকতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে জমজমাট বৈশাখী উৎসব পালিত হয়েছে। সকাল থেকেই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী ও ইনানী পয়েন্টে ভিড় করেন হাজারো পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ। রঙ-বেরঙের পোশাক, মুখে হাসি আর হাতে পান্তা-ইলিশের থালা সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত সমুদ্র সৈকতের লাবণিসহ বিভিন্ন পয়েন্ট। সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা বসে সৈকতের পয়েন্টগুলোতে। লাবণী পয়েন্টের জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চে বড় প্যান্ডেলে পালিত হয় ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নতুন বছর। এই দিনে দর্শনার্থীদের প্রত্যাশা নতুন বছর মানুষের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও আনন্দ। বাংলাদেশে থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ, দুর্নীতি ও হয়রানি।

ঢাকার বাসাবো থেকে আসা পর্যটক রণধীর দিব্য বলেন, সমুদ্র আর বৈশাখী উৎসব একসঙ্গে উপভোগ করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। কক্সবাজারে নববর্ষ উদযাপন এক আলাদা আবহ তৈরি করে। স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের আহমদ জানান, পহেলা বৈশাখে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সমুদ্রটা দেখতে এলাম। এ ধরনের উৎসব স্থানীয় পর্যটন শিল্পকে যেমন চাঙ্গা করে, তেমনি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সবাইকে আরও গভীরভাবে যুক্ত করে।

শেরপুর : জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। এ সময় পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) উপ-পরিচালক মো. বশীর উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ শাহীন, পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান, জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জেবুন নাহার শাম্মী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিন, শেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাতেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেরপুর জেলা আহ্বায়ক মামুনুর রহমান, সদস্য সচিব শাহনুর রহমান সাইম, শেরপুর জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ অংশ নেন।

বাঙালি সংস্কৃতির নানা প্রতিকৃত, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এছাড়াও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বর্ণিল সাজে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিভিন্ন পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে নেয়। শোভাযাত্রায় গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি স্থান পেয়েছে। শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে লোকজ মেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। লোকজ মেলা উদ্বোধন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

নোয়াখালী : বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেগমগঞ্জ উপজেলায় র‌্যালি আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী ৩ আসনের সাবেক সংসদ বরকত উল্যাহ বুলুর স্ত্রী ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সামীমা বরকত লাকি, উপজেলা বিএনপি সভাপতি কামাক্ষা চন্দ দাস, পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন, বেগমগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক আবেদ, পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো মহসীন আলম, যুগ্ম সম্পাদক আহছান উল্যাহ, যুবদলের রুস্তম আলী, সেচ্ছাসেবীদলের নজরুল ইসলামসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

রাঙামাটি : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নববর্ষের প্রথম প্রহরে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, যা শহরজুড়ে এক উৎসবমুখর আবহ সৃষ্টি করে। শোভাযাত্রায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা, শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকে ছিলেন নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে, হাতে মুখোশ, আর ছন্দে ছন্দে বাজছিল পাহাড়ি-বাঙালি বাদ্যযন্ত্র। নববর্ষকে ঘিরে সম্প্রীতি রক্ষায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ ছিল লক্ষণীয়। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক, সমন্বিত সাংস্কৃতিক পরিকল্পনা ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়।

জয়পুরহাট : জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শহরের রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় আনন্দ শোভা যাত্রা বের করা হয়। শোভা যাত্রায় জেলা প্রশাসন, বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ গ্রহণ করে। পরে কালেক্টরেট মাঠে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ২ দিনব্যাপী লোকজ মেলার উদ্বোধন ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আলীম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহা. সবুর আলী, তৃপ্তি কণা মন্ডল, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম, মিজানুর রহমান, আব্দুর রউফ, উজ্জ্বল বাইন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ প্রমুখ।

সাতক্ষীরা : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টরেট পার্ক চত্বরে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান শেষে সবার অংশ গ্রহণে সেখান থেকে বর্ষ বরণে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ। এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এইচএম রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবুজাহিদ ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান হাদী, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলীসহ অনান্যরা। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী।

দিনাজপুর : দিনাজপুর একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে প্রভাতী অনুষ্ঠানের পরেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘোড়ার গাড়ি ও ব্র্যান্ড পার্টির বাজনা বাজিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। গোর-এ শহিদ বড় ময়দান বড় মাঠে গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।

পরে সাতদিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম। উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে সবাইকে বাংলার নর্ববর্ষ পহেলা বৈশাখ কে স্বরণ করতে হবে। এই মেলায় সাত দিন ব্যাপী সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান চলবে।

দিনাজপুর জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এসএম হাবিবুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবুবক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) : নববর্ষ-১৪৩২ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এসে মিলিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক, উপজেলার কৃষি অফিসার দিলরুবা খানম, উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক, সমাজসেবা অফিসার শাহাদাত হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশেকুর রহমান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম জাহাঙ্গীর আলম।

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানে এসে শেষ হয়। এ সময়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক ইকবাল হোসেন, ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নন্দন কুমার দেবনাথ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ্জহুরা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসান কিবরিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া তাসমিন মুনমুন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল হোসেনসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকত, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

চাঁদপুর : বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনসহ অন্যান্য অতিথিরা। স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাঁদপুর সরকারি কলেজে এসে শেষ হয়। শোভযাত্রা উদ্বোধন পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, পহেলা বৈশাখ শুধুমাত্র নববর্ষ নয়, এটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। এই দিনে আমরা জাতিসত্ত্বা ও নিজেদের সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলবো। অসম্প্রদায়িক চেতনা বেশি কোন দেশ যদি ধারণ করে, সেটি বাংলাদেশ। কারণ এই উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবারই অংশগ্রহণ রয়েছে। আর এটাই হচ্ছে আমাদের অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষণ।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকতের সঞ্চালনায় অতিথিদের বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। এছাড়াও নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের নানা কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আয়োজন হচ্ছে-ডাকাতিয়া নদীর তীর সংলগ্নে ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ফরিদপুর : জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে বাংলা শুভ নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে থেকে একটি বর্ষবরণ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অম্বিকা ময়দানে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ইয়াছিন কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রামানন্দ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি সোহরাব হোসেন, পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাকাহিদ হোসেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রওশন আলী, সিভিল সার্জন মাহমুদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোদাররেস আলী ইসা, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াবসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, এনজিও সংগঠনের নেতারাসহ সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত