কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের একটি রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ওই ইউনিয়নের মইদাম ভুসিরভিটা এলাকার দলবাড়ি বিল পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের। মইদাম ভুসিরভিটা হয়ে দলবাড়ি বিলে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি দিয়ে তিন ইউনিয়নের হাজারও কৃষক তাদের ফসল আনা-নেয়া করেন। শুকনো মৌসুমে রাস্তাটি কোনো রকম ঠিক থাকলেও বর্ষায় এর করুণ অবস্থা তৈরি হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীসহ, তিন ইউনিয়নের কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় কৃষক ছালাম ও ইমান আলী জানান, দূরের কৃষকরা বিল থেকে ধান আনা-নেয়ার জন্য ট্রলি, ঘোরার গাড়ি, ভ্যান ও অটো ব্যবহার করেন। এতে বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় হাঁটু সমান কাদা হয়। কাদায় পায়ে হাঁটাই মুসকিল হয়ে যায়। স্থানীয় মুসলিম আনিস জানান, এই রাস্তার শেষ মাথায় বিলের কাছে আমাদের বাড়ি অতিরিক্ত কাদার কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। বৃষ্টি হলে রাস্তা কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায় বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না।
প্রতিদিন বৃষ্টির পানিতে চলাচলের কারণে ছেলে-মেয়েদের পায়ে ঘা হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর দাবি, তিন ইউনিয়নের মানুষের কৃষি কাজের সুবিধা, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা ও এলকাবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাটি পাকা করা অত্যন্ত জরুরি। রাস্তাটি পাকা হলে আমরা দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাব। পাথরডুবি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সবুব বলেন, আমার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মইদাম ভুসিরভিটা থেকে ঝুকিয়া বিলের দিকে যাওয়ার কঁচা রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এই এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। দূরবর্তী হওয়ায় তিনটি ইউনিয়নের মানুষ তাদের ফসলি জমির কৃষিপণ্য এই রাস্তায় ট্রলি, ঘোড়ার গাড়ি, ভ্যান ও অটোতে করে আনা-নেয়া করেন। রাস্তাটি সিসিকরণ বা হিয়ারিং করা হয় অথবা পাকা করতে পারলে ওই এলাকার মানুষের জন্য সুবিধা হবে। তিনি উপজেলা প্রশাসনের কাছে রাস্তাটির ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, রাস্তাটি এলজিইডির আওতাভুক্ত নয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তাটি আইডিভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।