ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নবীনগর কোরবানির হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়

নবীনগর কোরবানির হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির গবাদি পশুর হাট। গত কয়েকদিন ধরে অস্থায়ী বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া চলমান থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন হাটে ভিড় করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ঈদের আগাম প্রস্তুতি নিতে হাটে দেখা গেছে উৎসবমুখর পরিবেশ। উপজেলার ইব্রাহিমপুর এতিমখানা হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরু, ছাগল ও মহিষের সরবরাহ ভালো এবং বিক্রি শুরু হয়েছে জমজমাটভাবে। বিশেষ করে দেশি জাতের মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। অনেকেই এখনই কোরবানির পশু কিনে রাখার চেষ্টা করছেন, কারণ শেষ মুহূর্তে দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। হাটে আসা এক বিক্রেতা বলেন, ‘আবহাওয়ার একটু সমস্যা আছে ঠিকই, কিন্তু বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। গতকাল সকাল থেকেই অনেক গরু গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করি ঈদের আগের কয়েকদিন আরও ভালো হবে।’ ক্রেতারাও সন্তুষ্ট পশুর মান ও দামে। নবীনগরের বাড়িগলা থেকে আসা এক ক্রেতা জানান, এবার মাঝারি গরুর দাম একটু কম মনে মনে হচ্ছে। দেশি গরুগুলো স্বাস্থ্যবান। আমরা হাটে এসেই দেখে শুনে কিনি। নিরাপত্তা ও পশুর স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশাসনও সক্রিয়। এছাড়া হাটে প্রশাসন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। তবে হাটে ভিড়ের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি কিছুটা উপেক্ষিত দেখা গেছে, যদিও স্থানীয় প্রশাসন বারবার সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। অনেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুঁকলেও নবীনগরের বেশিরভাগ মানুষ এখনও হাটে গিয়েই পশু দেখে কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এতে একদিকে যেমন সরাসরি দরদাম করার সুযোগ থাকে, তেমনি পশুর শারীরিক অবস্থা যাচাই করা সম্ভব হয়। সব মিলিয়ে বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও নবীনগরের গবাদি পশুর হাটগুলোতে ঈদের রং ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্রেতা ও ক্রেতারা দুই পক্ষই আশাবাদী, শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা আরও চাঙা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত