পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় বসবাসরত দুস্থ অসহায় জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক পরিষদের বরাদ্দ অনুদানের খাদ্যশষ্য বিতরণের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। এরই ধারাবাহিকতায় বান্দরবান জেলায় পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং এর নামে বরাদ্দ ৫৫ টন খাদ্যশষ্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত দুস্থ অসহায় জনসাধারণের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
গত শনিবার আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং নিজে উপস্থিত হয়ে দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বরাদ্দকৃত খাদ্যশষ্যের বিপরীতে অনুদানের নগদ অর্থ তাদের হাতে তুলে দেন।
বান্দরবান সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রেইছা থলিপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা নিকা তঞ্চঙ্গ্যা’র বাড়িতে আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং মার্মা উপস্থিত হয়ে অনুদানের নগদ অর্থ তুলে দেন।
কুহালং ইউনিয়নের বটতলী-বাঘমারা বৌদ্ধ বিহারে মাহাসঙ্ঘরাজ অধিষ্ঠানানুষ্ঠানের জন্য নগদ অর্থ বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত সমা মহাথেরো হাতে তুলে দেন। এসময় বিহারে মাহাসঙ্ঘরাজ অধিষ্ঠ অনুষ্ঠানের জন্য নগদ অর্থ অনুদান প্রদান করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ম্যা ম্যা নু।
সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত কুহালং ইউনিয়নের ডলুপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা পুশৈ থোয়াই মার্মার স্মৃতি রক্ষার্থে একটি পাঠাগার স্থাপনের জন্য অনুদানের নগদ অর্থ তার স্ত্রী প্র সাং চিং এবং নাছালং পাড়া বৌদ্ধ বিহারে জল ছাদ মেরামতের জন্য নগদ অর্থ বিতরণ করেন আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং।
এ বিষয়ে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং বলেন, পার্বত্য অঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ হতে আমার অনুকূলে ৫৫ মেঃটন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ পেয়েছি এবং আমি নিজে সুবিধাভোগীদের বাড়িতে গিয়ে এসকল অনুদান প্রদান করছি। উপকার ভোগীরা আঞ্চলিক পরিষদে গিয়ে এ সকল অনুদান গ্রহণ করত তাহলে দেড় দুই হাজার টাকা খরচ হতো এ কারণে আমরা নিজেরাই অনুদান অর্থ তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আর্থসামাজিক উন্নয়নের উদ্দ্যোগ নিয়েছি। যার প্রেক্ষিতে অর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ২২টি প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে মোট ৫৫ টন খাদ্যশষ্য বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।