
যমুনায় পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন শুরু, বন্যার আশঙ্কা পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেইসঙ্গে চরাঞ্চলসহ বিভিন্নস্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙনে বসতবাড়িসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে ২১ সে. মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যমুনার বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। এরইমধ্যে যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়েছে এবং যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ও হচ্ছে। এতে যমুনা পাড়ের মানুষ এখন বন্যার আশঙ্কা করছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ, নিশ্চিন্তপুর, খাসরাজবাড়ি, চৌহালী উপজেলার খাষকউিলিয়া জনতার স্কুল এলাকা, উমারপুর, স্থল, তেঘরি, কুড়াগাছা, লাঙ্গলমুড়া, ঘোড়জান, ফুলহারা, চালুহারা, শাহজাদপুর উপজেলার গোপালপুর, সোনাতনী, ধীতপুর, শ্রীপুর, কুরসি, মাকড়া, ভাটদিঘুলিয়া, চর ঠুটিয়া, বেলকুচি উপজেলার বড়ধূল ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারি ও বাহুকা গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙনে এরইমধ্যে চরাঞ্চলের আখ পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এ ভাঙনে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড তেমন খোঁজ খবরও নেয় না। প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং সেইসঙ্গে ভাঙনের তীব্রতাও বাড়ছে। ভাঙনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে ও নিচ্ছে। এ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়কদিন ধরে যমুনার পানি বাড়ছে। এতে অনেক স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙন বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি বাড়ছে। সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৯ সে. মিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১১ সে. মিটার পানি বাড়ছে। এতে যমুনার অনেক স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং পানি বৃদ্ধি থাকায় অনেক স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।