মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন স্থান ও আবাসিক এলাকায় গত দুইদিন অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ চা-পাতা জব্দ করে বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সময় ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন ও অননুমোদিতভাবে মিনি চা কারখানা সীলগালা, জরিমানা ও এক ব্যবসায়ী এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন দোকানে এ অভিযান চলে। অভিযান পরিচালনা করেন চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন।
চা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (বাণিজ্য) মো. আব্দুল্লাহ আল বোরহান গত বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। সেই সময় হবিগঞ্জ রোডে ‘গ্রিন লিফ টি ফ্যাক্টরি’ নামে একটি চা কারখানা পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে, কারখানাটি চা বোর্ডের নিবন্ধন ছাড়া গ্রিন টি উৎপাদন করছে। চা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া গ্রিন টি উৎপাদের অপরাধে ওই কারখানাটি সিলগালা করে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
তিনি বলেন, শহরের স্টেশন রোডে সোনার বাংলা রোডে অবস্থিত ‘মেসার্স গাছপীর এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড টি হাউস’ নামে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে শাহীবাগ আবাসিক এলাকায় তাদের সংরক্ষিত ৭৫ বস্তা ভারতীয় সিডি চা (প্রতি বস্তা ৭০ কেজি) ৫২৫০ কেজি জব্দ করা হয়। এ অপরাধে জুবেল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে মোবাইল কোর্ট। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- বিটিআরআই পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন, চা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (বাণিজ্য) মো. আব্দুল্লাহ আল বোরহান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, শ্রীমঙ্গল থানার এএসআই নাজমুল হোসেন।
চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আসা চোরাই চা বিক্রয়, দুর্গন্ধযুক্ত নিম্নমানের চা প্যাকেটে ভরে বিক্রয়, নিলাম বহির্ভূত অবৈধ চা মজুদ, চা বোর্ডের বিডার ও ব্লেন্ডার লাইসেন্স না নিয়ে অনুমোদনবিহীন ব্র্যান্ডে চা বিক্রয়ের অপরাধে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমান আদালত নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে কোনো ভেজাল চা দেশে বিক্রি করতে দিব না। এ ব্যাপারে চা বোর্ড জিরো টলারেন্স থাকবে। গত ৮ জুলাই বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ভারতীয় চা মজুদ ও বিক্রয়ের কারণে টুম্পা টি হাউস-এর ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকার অবৈধ চা জব্দ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। স্টেশন রোড সংলগ্ন পদ্মা টি সাপ্লাই-এর ৬২ হাজার ৭২০ টাকার অবৈধ প্যাকেট জাত চা ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং গ্রীণ লিফ টি -এর ৫৩ হাজার টাকার চায়ের অবৈধ প্যাকেট ও ৩ হাজার ৫২০ টাকার চা এবং একটি প্যাকেজিং মেশিন জব্দ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।