কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা জামায়াতের নেতা আনিছুর রহমানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজিবপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃত আনিছুর রহমান জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজিবপুর উপজেলা সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, আনিছুর রহমান ভুয়া স্কুল খুলে ২১ পরিবারকে নিঃস্ব করেছেন এবং বাবু নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে মামলা থেকে অব্যাহতির কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। বিষয়টি জামায়াতের দায়িত্বশীলদের দৃষ্টিগোচর হলে, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কাজ করায় তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজিবপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘সংগঠনের কোনো নেতা বা কর্মী সংগঠনের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার সুযোগ নেই। তাই আনিছুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, জেলা জামায়াত আমিরের নির্দেশক্রমে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করছে।
এর আগে কয়েকটি গণমাধ্যমে জামায়াত নেতা আনিছুর রহমানের চাঁদা দাবি করার একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ হয়। সেখানে ব্যবসায়ী বাবুকে মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করতে শোনা যায়, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।