রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডিপিপির দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবস কর্মসূচি বয়কট করে মানববন্ধন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে রবির অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবনের ৩ সামনে রবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ মানববন্ধন করে। এ মানববন্ধনে রবির অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, আজ প্রাণের প্রতিষ্ঠান রবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিক।
দিনটি উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে আজ একটি আনন্দঘন দিন হতে পারত। অথচ আজ রাজপথে অবস্থা নিয়েছি। রবির ডিপিপি অনুমোদনে সরকারের উদাসীনতা এখানে দাঁড় করিয়েছে। রবির ডিপিপি অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করব না। আমরা দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ধুঁকছি, আর নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিতে রবি স্থাপন করতে এমন টালবাহানা গ্রহণযোগ্য নয়।
সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ইয়াতসিংহ শুভ বলেন, এ পর্যন্ত এই ডিপিপি ৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ যখন যে তথ্য-প্রমাণক চেয়েছে সরবরাহ করেছি।
এরইমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০০ একর ভূমি ব্যবহারে অনাপত্তি পত্র ডিপিপির সঙ্গে সরবরাহ করা হয়েছে। এরপরেও রবির ডিপিপির অনুমোদন না হওয়ায় নানাবিধ শঙ্কার জন্ম দিয়েছে। আমরা মনে করছি, এর পিছনে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত আছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে সহকারী রেজিস্ট্রার শেখ আল মাসুদ বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস নির্মাণে ডিপিপির অনুমোদনের দাবিতে রাজপথে দাঁড়াতে হয়েছে, এটি হতাশার। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করি। মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভাড়া করা ভবনে চলছে।
এটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য লজ্জার। এরআগেও রাজপথে ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছি এবং সরকারের আশ্বাসে শ্রেণিকক্ষে ফিরে এসেছিলাম। তবে এবার সমাধান না নিয়ে রাজপথ থেকে ফিরছি না। আমাদের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামতে হয়, এটি সভ্য সমাজের জন্য লজ্জার এবং ডিপিপি একনেকে অনুমোদন পায়নি উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের জন্য।
একনেক সভার সকলেই ডিপিপি অনুমোদনে সম্মত হলেও তিনি বললেন, প্রস্তাবিত প্রকল্প অঞ্চল পরিদর্শন করে তার মতো জানাবেন । তিনি সরেজমিনে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর একটির পর একটি একনেক সভা পেরিয়ে যায় ডিপিপি এজেন্ডাভুক্ত হয় না এবং এর জন্য এই উপদেষ্টাই দায়ী। ডিপিপির অনুমোদন চাই এবং এ উপদেষ্টার পদত্যাগও চাই।
রবির ডিপিপির অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়ন না হলে সড়ক ও রেল অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এ সময় ডিপিপির দ্রুত অনুমোদন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে স্নোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।