ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে জনজীবন বিপর্যস্ত

হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে জনজীবন বিপর্যস্ত

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে অমাবস্যা ও নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন। চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।

হাতিয়া উপজেলার প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দুদিন বন্ধ থাকার পর হাতিয়ায় সঙ্গে নৌযান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে। বীজতলা আমন-আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল থেকে জোয়ারের পানি নামতে শুরু করেছে।

গতকাল সকাল সকাল ৮টা থেকে দ্বীপটির সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ শুরু হয়। উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে সিট্রাক নলচিরা ঘাটে পৌঁছেছে। দুপুরের দিকে নলচিরা ঘাট থেকে যাত্রীবাহী এক ট্রলার চেয়ারম্যান ঘাটে পৌঁছে।

স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টি ও অসাভাবিক জোয়ারের পানিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের খেত, মাছের ঘের ও কাঁচা বাড়ি-ঘরের। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এখানকার নিম্ন আয়ের মানুষ। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। জোয়ারের পানিতে পানিবন্দি রয়েছেন বেড়িবাঁধের বাইরের বেশ কিছু পরিবার। জোয়ারে সুখচর ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা ডুবে যায়। এসব এলাকায় জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বসতঘর, রান্নাঘর, আঙিনা, রাস্তাঘাট ও মাছের ঘের। সুখচর ছাড়াও নলচিরা, চরইস্বর। এছাড়া নিঝুম দ্বীপের বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দমারচর, ঢালচর, চরগাসিয়া, নলের চর, বয়ার চর, চর আতাউর ও মৌলভীর চর এই চরাঞ্চলগুলোতেও ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল জোয়ারে তুপানিয়া, আল-আমিন গ্রাম ও নলচিরা এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অন্যদিকে গত দুই দিনের বৃষ্টিপাতে জেলা শহর মাইজদীসহ সদর, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেন ও খালে ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে পানি নামতে না পারায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানিতে হাতিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন এখানকার বেশ কিছু বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় আস্তে ধীরে হাতিয়ার সঙ্গে নৌ যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় নিয়ে আজ চলমান থাকবে।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা মিরা রানী দাস জানান, আবারও জোয়ারে পানিতে অনেক কৃষকের বীজতলা পানি বন্দি হয়ে, ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নোয়াখালী হাতিয়া কোম্পানিগুলো ও সূর্বচর উপজেলা হারুন রশিদ ও সদর উপজেলা আমাদের কৃষক কর্মকর্তা মাশরেফুল হাসান জানান, আমরা কাজ করছি। পানি নেমে যাওয়া পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত