ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চিরিরবন্দরে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা

চিরিরবন্দরে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র ঘুঘুরাতলী বটগাছ মোড়ে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ লাখ মানুষের ভোগান্তি চরমে। স্থানীয়রা জানায়, দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলা শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে উঠেছে গত ১০ বছরে। রংপুর বিভাগের আটটি জেলাসহ অন্য বিভাগের থেকেও হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চলাচল ছোট এ শহরে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলে এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় স্কুল শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারে না হাঁটু পানি জমে থাকে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘাটানার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী মাহিন ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলে স্কুলে প্রবেশ করা খুব মুশকিল কারণ স্কুলের গেটের সামানের রাস্তায় হাঁটু পানি জমে থাকে। একদিন পা পিছলে পানিতে পড়ে স্কুলে ক্লাস না করে বাড়ি চলে গেছি। আমরা চাই বৃষ্টি হলে পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয়।

পথচারী রবিউল ইসলাম বলেন, ছেলেকে নিয়ে স্কুলে আসছিলাম একটু বৃষ্টি হলো রাস্তায় লুকিয়েছিলাম বৃষ্টি শেষে ছেলেকে নিয়ে আবার স্কুলের দিকে রওনা দিলাম শহরের প্রধান জায়গা ঘুঘুরাতলী বট গাছে এমন পানি মনে হচ্ছে বন্যা হয়েছে। মাঝখানে ইজিবাইক ও চার্জার ভ্যানের সঙ্গে জটলার জন্য মোটরসেইকেল সাইটে নিতে গিয়ে পানিতে পড়ে গেলাম। ছেলে ও আমার হাত ও মাথায় আঘাত পেলাম। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হোক না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটান হতে পারে। স্থানীয় দোকানদার নিশাত ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে এজন্য আমাদের বেছা বিক্রিতেও ভাটা পড়ে। দ্রুত এখানে একটি ড্রেন নির্মাণ করে আমাদের ভোগান্তি দূর কারা হোক।

মেহেরে হোসেন রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা শহর একটি ছোট শহর কয়েক বছরে সরকারি স্কুল কলেজের পাশা পাশি অনেক অনেক গুলো বেসরকারি স্কুলে কলেজ গড়ে উঠেছে সঙ্গে সঙ্গে আবাসিক বিল্ডিং। এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে পৌরসভা না থাকায় অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উছেছে বড় বড় বিল্ডিং মার্কেট এখন পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই ড্রেন ।সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তার উপর পানি জমে ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেহা তুজ জোহরা বলেন, বৃষ্টির জন্য যে জলাবদ্ধতা তৈরি হয় সেজন্য আমার রাণীরবন্দর রোডে একটি ড্রেন তৈরি করেছি। এখন স্টেশন রোডে যে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে সে বিষয় আমি জেলার মিটিং সড়ক ও জনপদ বিভাগের আলোচনা করেছি তারা আসে পরিদর্শন করে গেছে তারা দ্রুত এখান এ বছরের অর্থ বরাদ্দে ড্রেন নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত