
সিরাজগঞ্জে রোপা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক
সিরাজগঞ্জে মৌসুমী রোপা আমন ধান চাষাবাদ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এ চাষাবাদের জমিতে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। অনেক স্থানে ধানের চারা সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় প্রায় ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যেই এ চাষাবাদে বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে এখন পুরোদমে রোপণ শুরু করা হয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় শস্যভাণ্ডার খ্যাত জেলার তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ সবকয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের চারা জমিতে রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। এসব ধনের মধ্যে রয়েছে, ব্রি ধান ৭১, ৭৫, ৪৯, ১০৩ এবং দেশীয় জাতের ধানের চারাও রোপণ করা হচ্ছে। এ চাষাবাদে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে রোপা আমন চাষাবাদে জমি প্রস্তুতে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ শুরু হয়েছে এবং সেইসঙ্গে জমিতে ধানের চারা রোপণও শুরু করা হয়েছে। তবে টানা বর্ষণে এ চাষাবাদ এগিয়ে যাচ্ছে। অতি বর্ষণে অনেক কৃষকের বীজতলা বিনষ্ট হয়েছে। এতে অনেক স্থানে চারা সংকট ও তার মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। বিশেষ করে শস্যভাণ্ডার খ্যাত উল্লেখিত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদে কামলা সংকটের সৃষ্টি ও মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ রোপা আমন চাষাবাদও শুরু করা হয়েছে।
এদিকে এ চাষাবাদের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বীজ বপণ করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাট বাজারে ১ পণ (৮০ তার) ধানের চারা সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা এ আহসান শহিদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রোপা আমন চাষাবাদ শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে বীজতলা কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে চারা সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা তেমন নেই। এরইমধ্যে প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে।
চলতি মাসের শেষের দিকে এ চাষাবাদ শেষ হবে এবং এ চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।