ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দিনাজপুরে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা

দিনাজপুরে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা

দিনাজপুরে ইরি-বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। এখন পর্যন্ত এই জেলায় ৮৭ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। অনেক মিল থেকেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সরবরাহ করতে পারেনি। এ জন্য ৪৩টি মিলকে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দিয়েছে খাদ্য বিভাগ। দিনাজপুর খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার জেলা দিনাজপুর। দেশে ১৪ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৯৫ টন চালই সংগ্রহ করা হবে দিনাজপুর জেলা থেকে। তবে ৬ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ শতাংশ। এখন পর্যন্ত ঘাটতি রয়েছে ১৭ হাজার টন চাল।

তবে এই জেলা ধান সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা তার চেয়ে অনেক বেশি ১২৮ শতাংশ ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এই জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন, আর সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৮ মেট্রিক টন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ জুলাই পর্যন্ত ধান ও চাল সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তবে এরইমধ্যে তা বাড়িয়ে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় চাল সংগ্রহের জন্য ৮৯৫টি চালকল সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ চাল দিয়েছে ২২টি চালকল এবং ১০ বা ২০ শতাংশ চাল দিয়েছে ২১টি চালকল। এসব মিল থেকে শতভাগ চাল আসলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে। তবে চুক্তির বাইরেও বেশ কয়েকটি চালকল রয়েছে।

যদি কোনো চালকল চুক্তিবদ্ধ হয়ে ৬০ শতাংশ চাল দিতে পারে তাহলে সেটি আর শাস্তির আওতায় আসবে না। আর যদি চুক্তি না করে কিংবা চুক্তি করে এবং ৬০ শতাংশের নিচে চাল দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। গত আমন মৌসুমেও এই জেলায় চুক্তিযোগ্য থাকার পরও অভ্যন্তরীণ আমন মৌসুমে সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন না করায় দিনাজপুরের ৩১৬টি চালকল ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করে খাদ্য বিভাগ।

এর মধ্যে ২৯৬টি সিদ্ধ ও ২০টি আতপ চালকল রয়েছে। দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানায়, গত আমন মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও যেসব চালকল সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়নি কিংবা চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর নির্দিষ্ট পরিমাণে চাল দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরইমধ্যে ৪৩টি চালকলের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। চাল সরবরাহ না করার কারণ এবং কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

তবে, গত আমন মৌসুমে যে ৩১৬টি চালকলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাদের সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের গুদামে চাল না দেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এরমধ্যেই ৩২টি চালকল তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আবেদন করেছে। দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, ‘বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৮৭ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। চাল সংগ্রহের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি ১৩ শতাংশ চাল সংগ্রহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট চালকলগুলোকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। তবে ১৫ আগস্টের মধ্যে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত